টুকরো খবর
কলেজ নির্বাচন স্থগিত
আদালতের নির্দেশে মানবাজারের মানভূম কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। আজ বৃহস্পতিবার, জেলার অন্য কলেজগুলির সঙ্গে মানভূম কলেজেও ছাত্র সংসদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, “পুরুলিয়া আদালত আপাতত আমাদের কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত করে ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।” ওই কলেজের ১৮টি আসনের সব ক’টিতেই এসএফআই প্রার্থী দিয়েছিল। চারটি আসনে লড়ছে ছাত্র পরিষদ। কিন্তু টিএমসিপি-র ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়। তাঁদের শুধু দু’জন প্রার্থীর নাম বৈধ বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান। এই প্রেক্ষিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপি-র মানবাজার ব্লক সভাপতি অপূর্ব সিংহ অভিযোগ করেন, “মনোনয়ন পত্র পূরণের সময় আমাদের প্রার্থীদের কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভ্রান্ত করায় ১৬টি মনোনয়ন বাতিল হয়। বুধবার আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে।” এসএফআই-র মানবাজার জোনাল সম্পাদক কালিচরণ রজকের দাবি, “১২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরাই জিতে গিয়েছিলাম। এখন দেখা যাক কী হয়।” বৃহস্পতিবার এসএফআই-র এক প্রতিনিধি দল কলেজে গেলে আশুতোষবাবু তাঁদের জানিয়ে দেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের নির্দেশ তাঁরা মেনে চলবেন।

খুনের তদন্তের দাবি, অবরোধ
ডাকাতদের হাতে নিহত সিআরপি জওয়ানের দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন পুরুলিয়ার জয়পুরের বেলিয়াগোড়া গ্রামের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার জয়পুরে পুরুলিয়া-রাঁচি সড়কের উপর আড়শা মোড়ে সকাল ৯টা থেকে তাঁরা ঘণ্টা তিনেক অবরোধ করেন। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার ও উচ্চ পযার্য়ের তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। জয়পুর থানা থেকে পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধকারীদের বুঝিয়েও রাস্তা থেকে সরাতে পারেননি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবোধেশ পাঠক গিয়ে তাঁদের যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ ওঠে। মঙ্গলবার রাতে বেলিয়াগোড়া গ্রামে নিজের বাড়িতে খুন হন সিআরপির ২৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান যুধিষ্ঠির মাহাতো। নিহতের ভাইপো বুদ্ধেশ্বর মাহাতোর প্রশ্ন, “এক আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানকেই যদি খুন করা হয়, তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?” পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। লুঠপাট চালানোর আগেই আচমকা ওই জওয়ানকে দুষ্কৃতীরা কেন খুন করল তা জানা দরকার। দুষ্কৃতীরা কি তাঁকে খুন করতেই সেখানে গিয়েছিল, না কি ডাকাতি করতে গিয়ে খুনের ঘটনা হয়, তদন্তে আমরা সব দিকই খতিয়ে দেখছি।”

জিতেও হারল এসএফআই
বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজে সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারটি আসনে জিতল এসএফ আই। তিনটি আসনে টিএমসিপি জেতে। আগে আরও ১৭টি আসনে টিএমসিপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়। মোট ২৪টি আসনের মধ্যে শুধু সাতটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল এসএফআই। সংগঠনের জেলা সম্পাদক ধর্মেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “বাঁকুড়া সদর মহকুমায় সাতটি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টিএমসিপি-র সন্ত্রাসের জেরে খ্রিস্টান কলেজের এই সাতটি আসন ছাড়া আর কোথাও আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি। এখানে সাতটির মধ্যে চারটি আসনের জয়েই প্রমাণিত হল, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সবকটি কলেজে আমরাই জিততাম।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যদি সন্ত্রাস চালাতাম তাহলে ওরা একটাও আসন পেত না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.