|
|
|
|
মজুরি নিয়ে মতানৈক্য, জট পাথর শিল্পাঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
অচলাবস্থা কাটল না মুরারই থানার রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার। সম্প্রতি সেখানে পাথর বোঝাই করা শ্রমিকদের সঙ্গে ট্রাক মালিকদের বিরোধ দেখা দিয়েছে। বুধবার বৈঠকেও তা কাটেনি। বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ জানাতে ট্রাক মালিকেরা রাজগ্রাম হাসপাতাল পাড়া, জলট্যাঙ্ক রোড ও রেলগেট সংলগ্ন রাস্তার উপরে প্রায় শতাধিক ট্রাককে দাঁড় করিয়ে রেখে দেন। যার জেরে পাথশিল্পে দৈনন্দিন কাজ ব্যহত হয়েছে, তেমনই মুশকিলে পড়েছেন সাধারণ মানুষও। মুরারই ১-এর বিডিও আবুল কালাম বলেন, “আমরা আবার বৈঠকে বসব। রামপুরহাট মহকুমার সহকারী শ্রম কমিশনারকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।” বুধবারই সমস্যা মেটাতে এলাকার পাথর বোঝাইয়ের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের চারটি সংগঠনের প্রতিনিধি, ট্রাক মালিকদের প্রতিনিধি পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন মুরারই থানার অফিসার ইনচার্জ। কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি।
শ্রমিকদের মূল দাবি ছিল, রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় যে সব স্থানীয় ট্রাক পাথর বোঝাই করতে আসে তাদের ক্ষেত্রে ছ’ চাকা ট্রাকের জন্য ১০০ সিএফটি, পাথরের জন্য ২০০ টাকা ও দশ চাকা ট্রাকের জন্য ১০০ সিএফটি পাথরের জন্য ৩০০ টাকা মজুরি বাবদ দিতে হবে। শ্রমিকদের এই দাবির থেকেই ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সে সময় প্রশাসনিক বৈঠকে উভয় পক্ষ সাময়িক ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন। ঠিক পরবর্তী সময়ে সামগ্রিক ফয়সালা না হওয়ায় ফের জট পাকতে শুরু করে। ট্রাক মালিক সংগঠনের সম্পাদক মনতাজ হোসেনের বক্তব্য, “শ্রমিকেরা আগে যন্ত্রের সাহায্যে মাল বোঝাই করার জন্য কোনও মজুরি নিতেন না। কিন্তু এখন অন্যায় ভাবে তার জন্য টাকা চাইছেন। সেই দাবি মানব না।” যদিও একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা রফিকুল হাসান বলেন, “যে পদ্ধতিতেই ট্রাকে পাথর বোঝাই করা হোক না কেন, ন্যায্য মজুরি দিতেই হবে।” শ্রমিকদের অন্য একটি সংগঠনের দাবি, ট্রাক মালিকেরা ৬ চাকার জন্য ৫০ টাকা ও দশ চাকার জন্য ১০০ টাকা দিতে রাজি হলেও শ্রমিকেরা তাতে সন্তুষ্ট নন।
|
|
|
|
|
|