এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত যুবকের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করল সিউড়ি আদালত। বৃহস্পতিবার সিউড়ি সিজেএম আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ধৃত মঙ্গল হেমব্রমকে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। গত বুধবার দুপুরে গ্রামের এক যুবক মহম্মদবাজার থানা এলাকার ওই মেয়েটিকে জোর করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, নিগৃহীতা মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। এখনও রিপোর্ট মেলেনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরের খাওয়া সেরে মেয়েটি বাড়ির কাছেই মাঠে গরু-ছাগল চরাতে গিয়েছিল। ওই সময় মাঠে একা পেয়ে তারই গ্রামের যুবক মঙ্গল হেমব্রম মেয়েটির উপরে শারীরিক চালায় বলে অভিযোগ। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর অভিযোগ, “মঙ্গল আমাকে জোর করে পাশের জঙ্গলে টানতে টানতে নিয়ে যায়। বারবার ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও আমার উপর শারীরিক অত্যাচার করে পালিয়ে যায়।” তারপরে মেয়েটি কোনও রকমে বাড়ি ফিরে সব কথা জানায়। সেদিনই পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। রাতেই ধরা পড়ে মঙ্গল। পুলিশের দাবি, জেরায় মঙ্গল নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মঙ্গল বলেন, “ঝোঁকের বসে এমনটা করে ফেলেছি।” বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “ওই ঘটনায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি।”
|
দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন রামপুরহাট শহরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ঠিক সেই সময়ই তাঁকে মারধর করে ও এলাকায় বোমা ফাটিয়ে সোনার গয়না-সহ বেশ কিছু টাকা ছিনতাই করে পালাল কয়েক জন দুষ্কৃতী। বুধবার রাতে শহরের হাটতলা এলাকার ঘটনা। দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম সোনার দোকানের মালিক তপল রায় রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “রামপুরহাট এমন একটি জায়গা যার পাশেই ঝাড়খণ্ড। উত্তরবঙ্গের সঙ্গেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। তারই সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা অপরাধমূলক কাজ করে পালিয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও আমরা যথেষ্ট তৎপর থাকছি।” ঘটনার দিন রাতে রোজকার মতো তপনবাবু নিজের দোকান বন্ধ করে দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে হাটতলা দিয়ে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। তখনই হাটতলার গলিতে ছয় দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। তপনবাবুর ভাই গৌতম রায়ের অভিযোগ, “দাদা ও দোকানের কর্মীরা বাধা দিলে ওই দুষ্কৃতীরা লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে। তাতে দাদা ও আরও দু’জন কর্মী আহত হন। ওই সুযোগেই তারা দাদার ব্যাগটি ছিনতাই করে নেয়। তার পরে দুষ্কৃতীরা এলাকায় একটি বোমা মেরে ধূলাডাঙা রোড দিয়ে পালিয়ে যায়।”
|
দুবরাজপুর থানা এলাকার আমুড়ি গ্রাম ঘেঁষা পটলবাজারে বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলিতে জখম হলেন শেখ বুলবুল নামে এক যুবক। বর্তমানে সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝিরুল ও আমুড়ি-র মধ্যবর্তী হিংলো সেচ খালের পাশে তৃণমূলের একটি পার্টি আফিস তৈরি হওয়াকে ঘিরে সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। ওই যুবকের পরিবারের দাবি, এ দিন মাঠে কাজ করতে গিয়ে শেখ বুলবুল কয়েক জনকে এক জয়গায় জড়ো হয়ে বোমা বাঁধতে দেখে ফেলেছিল। সেখান থেকে পালাতে গেলে তাদেরই কেউ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যদিও বিষয়টি নিয়ে সিপিএম বা তৃণমূলের নেতারা মুখ খোলেননি। পুলিশ জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট আভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |