টুকরো খবর |
অবস্থান বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
শিক্ষকদের ও সরকারি কর্মীদের সমান বেতন-সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি করে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল সিপিএম প্রভাবিত নিখিলবঙ্গ পার্শ্ব শিক্ষক সমিতি, শিক্ষাবন্ধু সমিতি ও সর্বশিক্ষা মিশন এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তমলুক জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন ও স্মারকলিপি দেন তিনটি সংগঠনের সদস্য ও সমর্থকরা। নিখিলবঙ্গ পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক ইনতাজ আলি অভিযোগ করেন, “বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের মতোই পার্শ্ব শিক্ষকরা পড়ানোর কাজ করেন। অবর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের কর্মীর সমান কাজ করেন শিক্ষাবন্ধু ও সর্বশিক্ষা মিশনের কর্মীরা। কিন্তু আমাদের সুযোগ সুবিধা অনেকটাই কম।” অবসরকালীন প্রাপ্য ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ, ভবিষ্যনিধি চালু, মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়সীমা বাড়ানো-সহ নানা দাবি জানায় তারা।
|
স্মৃতির টানে ঝাড়গ্রামে বিদেশি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
রাজবাড়ির সামনে মা-ছেলে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
লন্ডনের বাসিন্দা ৬৩ বছরের ব্রিটিশ মহিলা ফিল্যিস গ্রিফিথ ও তাঁর ছেলে বিবিসি’র সাংবাদিক ক্রিস গ্রিফিথ ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা ঘুরে দেখলেন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। ঝাড়গ্রামের অদূরে গড়-শালবনি এলাকায় এক সময় ছিল ‘সাহেব কলোনি’। সেখানে থাকতেন ফিল্যিসের কাকা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ফিল্যিসের কাকা ঝাড়গ্রামেই থেকে যান। ফিল্যিস জানালেন, গড়-শালবনির সাহেব কলোনিতে তাঁর কাকার পাঁউরুটি তৈরির বেকারি ছিল। ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে খুব ছোটবেলায় বার দু’য়েক তখন বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝাড়গ্রামের গড়-শালবনিতে বেড়াতে এসেছিলেন ফিল্যিস। এ দিন ফিল্যিস বললেন, “শাল জঙ্গলের মাটির সোঁদা গন্ধ আর আদিবাসী গানের সুর, সব মিলিয়ে ছোটবেলায় জায়গাটা মনে খুব দাগ কেটেছিল। দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে ছিল কাকার অবর্তমানে জায়গাটা কী অবস্থায় রয়েছে তা একবার দেখা।” এদিন ঝাড়গ্রামের গড়-শালবনির সাহেব কলোনিতে কাকার বাড়ি ও বেকারির ধ্বংসস্তূপ দেখে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন ফিল্যিস। ক্রিস বলেন, “জঙ্গলমহল সম্পর্কে অনেক শুনেছি। তাই আমিও মায়ের সঙ্গী হয়েছি।”
|
সাজা স্বামীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মামলা চলার পর স্ত্রীকে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে সাজা হল স্বামীর। বৃহস্পতিবার কাঁথি আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক মনোজ শর্মা ভূপতিনগর থানার মানিকজোড় গ্রামের সুভাষ মাঝিকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনান। সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় মিশ্র জানান, গত ১৯৯২ সালে সুভাষের সঙ্গে উত্তর পাথরবেড়িয়া গ্রামের শেফালীর বিয়ে হয়। দেড় বছরের মাথায় শেফালী বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। এরপর শেফালীর বাবা জামাই-সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন।
|
মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কোলাঘাট শহরের পাইকপাড়ি এলাকায় রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। গত ৬ জানুয়ারি দুর্ঘটনার দিন বিকেলেই গৃহকর্ত্রী ইরা দাসের মৃত্যু হয়। এরপর মারা যান তাঁর স্বামী অনিলবাবু, বউমা রূপাদেবী, বাড়ির পরিচারিকা ছায়া বাগ। বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান গ্যাস সরবরাহ সংস্থার কর্মী সোহরাব আলি। অগ্নিকাণ্ডে আহত ইরাদেবীর ছেলে অমিত দাস সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
|
আজ পূর্বে রাষ্ট্রপতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
রাষ্ট্রপতির সফর নির্বিঘ্ন করতে তোড়জোড় |
তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করতে আজ শুক্রবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে আসছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সফর ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করছে পুলিশ। বুধবারই নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধের কাছে তৈরি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টারের মহড়া দিয়েছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন সেনাবাহিনী ও রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
|
দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পটাশপুর থানা এলাকার প্রতাপদিঘিতে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতাপদিঘি-কালীনগর খালে একটি বাঁশের সেতুর গায়ে বছর তিরিশের ওই যুবকের দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় মানুষেরা পুলিশে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। মৃত যুবক স্থানীয় বাসিন্দাও নন। খালে পর পর মৎস্যজীবীদের জাল থাকায় মৃতদেহ ভেসে আসারও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
|
ক্রিকেট প্রতিযোগিতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
শুরু হল এগরার বোলকুশদা সবুজ সঙ্ঘের পরিচালনায় সাত দিনের ১৩তম শ্রীহরি জানা ও সুদীপ্তচন্দ্র প্রধান স্মৃতি নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। স্থানীয় হাকাণ্ডপুর ময়দানে ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে কলকাতা, ওড়িশা ও দুই মেদিনীপুরের মোট আটটি দল। বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ক্ষিতীন্দ্রমোহন সাহু। উদ্বোধন খেলায় মুখোমুখি হয় কলকাতা ওয়ারিশ স্পোর্টিং ক্লাব ও দিঘা স্পোর্টিং ক্লাব। দিঘা তিন উইকেটে জয়ী হয়। ফাইনাল ২৭ জানুয়ারি। |
|