|
|
|
|
উদ্যোগী স্কুল পরিদর্শক |
শহরে ভর্তির সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পেরে যে সব ছাত্রছাত্রী আবেদন করেছিল, তাদের মেদিনীপুর শহর ও আশপাশেরই বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যেই সকলে ভর্তি হয়ে যাবে বলে দফতরের বক্তব্য। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “আমরা আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলাম। তাতে জানানো হয়েছিল, যারা কোনও স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না, তারা দফতরে
আবেদন করবে। সেই মতো তিনশোরও বেশি আবেদন জমা পড়ে। ওই সব আবেদন খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পেরে এ বার মোট ৩৯৮ জন ছাত্রছাত্রী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতর থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছিল। আবেদনপত্র জমা পড়ার পর তা খতিয়ে দেখা হয়। এই সময় ৬২ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে। কেন? দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “তালিকা খতিয়ে দেখার সময় দেখা যায় আবেদন করেছেন, এমন ৬২ জন ছাত্রছাত্রী পরবর্তী সময় কোনও না স্কুলে ভর্তি হয়েছে। হয়তো তা তাদের পছন্দের স্কুল নয়। দফতর তাদের আবেদন খতিয়ে দেখেই পদক্ষেপ করবে, যারা কোনও স্কুলেই ভর্তি হতে পারেনি।” তাঁর কথায়, “সেই মতো বাকি ৩৩৬ জন ছাত্রছাত্রীর আবেদন খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদের কোনও না কোনও স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরে ভর্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় ডিসেম্বরেই। তখন স্কুলে স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। গত বছরের মতো এ বারও রাজ্য সরকারের নির্দেশ ছিল, লটারির মাধমেই ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করতে হবে। তবে যে সব স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ একই ক্যাম্পাসে রয়েছে, সেখানে চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণরা সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।
এর ফলে একাংশ ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়ে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতর সূত্রে খবর, খড়্গপুর কিংবা ঘাটালে ভর্তি সংক্রান্ত সমস্যা সে ভাবে দেখা দেয়নি। সমস্যা হয় একমাত্র মেদিনীপুরে। পরিস্থিতি দেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা কোনও স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে না, তারা আবেদন করবে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত আবেদনপত্র দেওয়া হয়। পরে ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে আবেদনপত্র নেয় ৩৯৮ জন ছাত্রছাত্রী। এরপরই তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতর।
সঙ্ঘমিত্রবাবু বলেন, “যারা আবেদন করেছিল, তাদের অধিকাংশই মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করেছে। শহর ও তার আশপাশের ১৬টি স্কুলে এদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যেই সকলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে যাবে। ফলে, ভর্তি নিয়ে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।” |
|
|
|
|
|