হকারদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কোনও আইন তাদের জানা থাকলে তা আদালতকে জানানোর জন্য হকার সংগ্রাম কমিটিকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি সল্টলেকের একটি শপিং মল এলাকা থেকে হকার উচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলা করেছিল হকার সংগ্রাম কমিটি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে।
শুনানিতে বিধাননগর পুরসভার পক্ষে আইনজীবী প্রদ্যুম্ন সিংহ বলেন, “শপিং মল এলাকাটিতে অসংখ্য গাড়ি চলাচল ও মানুষের যাতায়াত। সেখানে ফুটপাথ দখল করে বসে পড়েছিল হকারেরা। তাই উচ্ছেদ করা হয়েছে।” ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় কলকাতার ক্ষেত্রে কী করা হয়েছে। জবাবে প্রদ্যুম্নবাবু বলেন, “কলকাতার হাল যাতে সল্টলেকে না হয়, তাই আগে থেকে সতর্ক হতে হয়েছে। এমন কোনও আইন নেই যাতে হকারদের পুনর্বাসন দিতে হবে।” হকার সংগ্রাম কমিটির তরফে বলা হয়, পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নীতি রয়েছে। জবাবে প্রদ্যুম্নবাবু বলেন, “নীতি আইন নয়, আইন করলে পুরসভা মান্য করে চলবে।” |
তখন ডিভিশন বেঞ্চ হকার সংগ্রাম কমিটিকে জানায়, পুনর্বাসনের আইন জানা থাকলে তারা যেন আদালতে জানায়। ২১ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এ দিকে, সল্টলেকের মাস্টার প্ল্যান ছাড়াও, জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত নথি জমা করতে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্রকে নির্দেশ দিল আদালত। মাস্টার প্ল্যান না মেনে রাস্তার উপরে একটি শপিং মল তৈরির অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই মামলাটি ফের ওঠে। আবেদনকারীর আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী সল্টলেকের মাস্টার প্ল্যান জমা করলে অনিন্দ্যবাবু বলেন, “এটি মাস্টার প্ল্যান নয়, ওয়ার্কিং অর্ডার প্ল্যান।” তখন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বিধাননগর পুরসভার মতামত জানতে চায়। পুরসভার আইনজীবী প্রদ্যুম্ন সিংহ বলেন, “জমি বিষয়ের এক্তিয়ার রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের।” ডিভিশন বেঞ্চ তখন মাস্টার প্ল্যান ছাড়াও সল্টলেকে জমি কী ভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে, সে সংক্রান্ত নথি জমা করতে অনিন্দ্যবাবুকে নির্দেশ দেয়। |