ভাড়া গাড়ির চালককে ‘খুন’ করে সেই গাড়িটিই বিক্রি করার ফন্দি নিয়ে কলকাতায় এসেছিল ঝাড়খণ্ডের তিন দুষ্কৃতী। চোরাই গাড়ির ক্রেতা সেজে মঙ্গলবার তাদের ধরে বড়বাজার থানার পুলিশ। জেরায় বৃহস্পতিবার পুলিশ জেনেছে, গাড়িচালককে খুনের ঘটনাতেও ওই পাচারকারীরাই জড়িত।
পুলিশ জানায়, তিন দুষ্কৃতী একটি বোলেরো গাড়ি শহরে বিক্রি করতে আসছে বলে খবর মিলেছিল। মঙ্গলবার স্ট্র্যান্ড রোডের কাছে ক্রেতা সেজে ওত পেতে ছিলেন ওসি শুভেন্দু বারিক, অতিরিক্ত ওসি রমেশ রায়চৌধুরী ও এসআই এস প্রহরাজ। হাতেনাতে ধরা হয় রঞ্জিত সিংহ, জিতেন্দ্র ওঁরাও এবং জীবর্ধন মাহাতো নামে তিন গাড়ি চোর এবং তাঁদের কলকাতার এজেন্ট শিবপুরের বাসিন্দা ফিরোজ আজমলকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির কাগজ দেখে তার মালিক অমলকৃষ্ণ রবাইকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি পুলিশকে জানান, রাঁচি স্টেশনে যাওয়ার জন্য তিন যুবক তাঁর গাড়ি ভাড়া করে। যুবকেরা জানিয়েছিল, তাঁদের ট্রেনে দিল্লি যেতে হবে। রবিবার রাতে গাড়িচালক আনন্দমতি লাকড়া (২৫) সওয়ারিদের নিয়ে গুমলা থেকে রওনা দেন। সোমবার ধানবাদের বরওড্ডি থানা এলাকায় একটি সুনসান জায়গা থেকে আনন্দের দেহ মেলে।
বরওড্ডি থানার অফিসার কমলেশ পাণ্ডে বৃহস্পতিবার জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে, গুমলা থেকে রাঁচি যাওয়ার পরে দুষ্কৃতীরা আনন্দমতিকে জানায়, সময়ে না পৌঁছনোয় তাঁদের ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। তাই ধানবাদে গিয়ে অন্য ট্রেন ধরতে হবে। সওয়ারিদের কথামতো ধানবাদে রওনা দেন আনন্দমতি। মাইথনের কাছাকাছি গলায় ফাঁস দিয়ে গাড়িচালককে খুন করা হয়। পরে তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হয় বরওড্ডি এলাকায়। ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানায়, ওই থানার এক তদন্তকারী দল কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতেরা আগেও কিছু চোরাই গাড়ি এ শহরে পাচার করেছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |