|
|
|
|
ডিজেলে নিয়ন্ত্রণ ওঠায় ফের ঘুরে দাঁড়াল সূচক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের মন্তব্যে আগের দিন প্রায় ১৭০ পয়েন্ট পড়ে গেলেও বৃহস্পতিবারই ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার সূচক। এ দিন সেনসেক্স এক লাফে ১৪৬.৪০ পয়েন্ট বেড়ে বাজার বন্ধের সময়ে দাঁড়ায় ১৯,৯৬৪.০৩ অঙ্কে। ডিজেলের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ আংশিক ভাবে শিথিল করতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রভাবেই তেতে উঠেছে শেয়ার বাজার। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সূচকের ঊর্ধ্বগতি এখন বাজায় থাকবে। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিরেক্টর এস কে কৌশিকের মতো বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেনসেক্স ২২ হাজার অঙ্ক ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্ট করবে।
সুদ কমানোর রাস্তায় হাঁটা এখনই সম্ভব নয় বলে গত বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও যে-ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাতে পড়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। তবে এই পতন যে-সাময়িক হবে, সে রকমই মত প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথা সত্য প্রমাণ করেই এই দিন ফের চাঙ্গা হয়ে উঠল শেয়ার বাজার।
শেয়ারের পাশাপাশি এই দিন দাম বেড়েছে টাকারও। বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৫৪.৩৯ টাকা। যা গত দু’সপ্তাহের মধ্যে সব থেকে বেশি। এ দিন ডলারে টাকা বেড়েছে ৩০ পয়সা। এরও কারণ সেই ডিজেলের দামে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বলেই বিদেশি মুদ্রার বাজার সূত্রের খবর।
ডিজেলের দাম ঠিক করার উপর নিয়ন্ত্রণ আংশিক ভাবে তুলে নেওয়ার ফলে তেল সংস্থাগুলির লোকসান কমবে। এই খাতে ভর্তুকি জোগাতে খরচ কমবে বিশেষ করে ওএনজিসি এবং গেইলের। কারণ, তেল বিপণন সংস্থাগুলির লোকসান কমাতে ভর্তুকি প্রধানত দেওয়া হয় ওএনজিসি, অয়েল ইন্ডিয়া এবং গেইলের মতো তেল উত্তোলন সংস্থার মুনাফা থেকেই। তাই এ দিন ওএনজিসি এবং অয়েল ইন্ডিয়ার শেয়ার দর দ্রুত বেড়ে গিয়েছে। বেড়েছে রিলায়্যান্স, ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ম, ভারত পেট্রোলিয়ামের শেয়ার দরও। তবে ভারতের শেয়ার বাজার চাঙ্গা করে তোলার ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিই যে প্রধান ভূমিকা পালন করছে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অধিকাংশই একমত। |
|
|
|
|
|