খাদ্যমেলার টানেই ভিড় বইমেলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বইমেলার পাশাপাশি খাদ্য মেলাতেও জমছে ভিড়। ১১ জানুয়ারি, বইমেলার সঙ্গেই অদূরে একটি মাঠে শুরু হয়েছিল খাদ্য মেলা। চলবে ২০জানুয়ারি পর্যন্ত। বিএনআর গ্রাউন্ড মাঠের উদ্যোগে এই মেলায় এসেছে ঘর সাজানোর জিনিস থেকে নানারকম খাবার। গয়া থেকে তিলকূট বানিয়ে এনেছেন সঞ্জয় কুমার। কল্যাণী থেকে পিঠেপুলি নিয়ে এসেছেন গোপাল ভট্টাচার্য। মাছ, মাংস ও ডিমের ঘুগনি বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ত্রিলোকী প্রসাদ। তাঁরা বলেন, “খাবার বিক্রিতে আমরা অভিভুত।” মেলায় মিলছে মুরগীর মাংসের নানা পদ। আছে রাবড়ী, মটন বিরিয়ারি থেকে চাটের সমাহার। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক সুমন দাস জানান, পাশেই বইমেলা। সেখান থেকে খাবার টানেই এই মেলায় ভিড় জমান ক্রেতারা।এ দিকে, আসানসোল বইমেলায় প্রতি সন্ধ্যাতেই থাকছে কিছু না কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সম্প্রতি প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মরণে একটি অনুষ্ঠান হয়। ছিলেন স্থানীয় কবি উজ্জ্বল সিংহ, বিজয় সিংহ, সাহিত্যিক রাহুল দাশগুপ্ত ও অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বৃহস্পতিবার কবিতা পাঠের পর কবি অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণেও সভা হয়। মেলায় আশাবাদী প্রকাশকেরাও। আনন্দ পাবলিশার্সের প্রতিনিধি প্রিয়ব্রত ঘোষ জানান, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের বিক্রির হার অনেক বেশি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, সত্যজিৎ রায়, সমরেশ মজুমদার এবং তসলিমা নাসরিনের বইয়ের কাটতি সবচেয়ে বেশি। চাহিদা রয়েছে কাকাবাবু, ফেলুদা, টিনটিনেরও। দে’জ প্রকাশনীর প্রতিনিধি বিশ্বেশ্বর মহাপাত্র জানান, সবচেয়ে বেশি বিক্রি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘অনন্ত জীবনের জীবনী।’ বড় বইয়ের স্টলের পাশে রয়েছে ছোট পত্রিকারাও। ফরিয়াদ, সাঁকো, ঠিকানা-র মতো ছোট পত্রিকার প্রতিনিধিরাও খুশি মেলায় এসে। ডিসেরগড় থেকে এসেছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছোটি চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল থেকে এসেছে জিৎ মজুমদার বা রিঙ্কি দাসের মতো পড়ুয়ারা। তাঁদের কথায়, পাশেই খাদ্য মেলা। বইমেলার মজা তাতে অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। |