ইন্দু পুরীর আট বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির ছোঁওয়া হল না পৌলমী ঘটকের। শনিবার জাতীয় টেবল টেনিসের ফাইনালে গতবারের হারের বদলা নিয়ে তাঁর এই স্বপ্ন ভেঙে দিলেন কে শমিনি। বাংলার আর এক তরুণ টিটি তারকা শিলিগুড়ির সৌম্যজিৎ ঘোষ অবশ্য হতাশ করলেন না। প্রত্যাশামতোই জিতে নিলেন পুরুষদের সিঙ্গলস খেতাব। গড়লেন এক নতুন নজিরও। তিনিই ভারতীয় টেবল টেনিসের ইতিহাসে পুরুষদের কনিষ্ঠতম জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই দেশের সেরার খেতাব জিতে পেয়ে গেলেন ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার। শমিনি জিতে নিলেন ১ লক্ষ ৪৫ হাজারের চেক।
সৌম্যজিৎ এ দিন সেমিফাইনালে গতবারের খেতাবজয়ী অমলরাজকে ও ফাইনালে ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন শরথ কমলকে হারিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিলেন। প্রাক্তন বিশ্ব ডাবলস চ্যাম্পিয়ন সুইডেনের পিটার কার্লসনের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুফলই বলা যায় একে। চলতি মরসুমে দেশের মাটিতে হারেননি তিনি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন রায়পুরেও। ফাইনালে ৩-১১, ১১-৫, ৫-১১, ১১-৮, ১১-৬ ও ১১-৭-এ জেতার পর সৌম্যজিৎ বললেন, “প্রথম গেমে হারার পর দ্বিতীয় গেমে যখন ৪-১-এ এগিয়ে যাই, তখনই আশাবাদী হয়ে উঠি। কিন্তু যখন ফের তৃতীয় গেমে হেরে যাই ও পরের গেমে ১-৪-এ পিছিয়ে, তখন আমার বন্ধু হরমিত দেশাই আমার দিকে বারবার টাইম-আউটের ইঙ্গিত করতে শুরু করে। তার পরেই শরৎ ভাইয়ের ছন্দ নষ্ট করে আমি বারবার ওকে ব্যাকহ্যান্ডে ভুল করাতে বাধ্য করি। শেষ পর্যন্ত এই কৌশলই কাজে লেগে যায়।”
এ বারের চার ফাইনালিস্টই পেট্রোলিয়াম স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের। শমিনি গতবারের ফাইনালের হারের বদলা নিয়ে নিলেন রীতিমতো আধিপত্য বিস্তার করে। পৌলমীকে জিততে দিলেন মাত্র একটি গেম। বাকি চারটিই তাঁর দখলে। ফল ১৪-১২, ১১-৯, ৯-১১, ১১-৪, ১১-৮। হারের পর রায়পুর থেকে এ দিন ফোনে হতাশ পৌলমী বলেন, “বুঝতে পারছি না কেন এ ভাবে হেরে গেলাম। হারটা আমার কাছে খুব বিস্ময়কর লাগছে। তাড়াহুড়ো করে পয়েন্ট নিতে যাওয়াটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াল।”
|
এক নজরে চ্যাম্পিয়ন |
রায়পুরে ট্রফি হাতে সৌম্যজিৎ |
• পুরুষদের টিটি-তে সাত বছর পর প্রথম বাঙালি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন
• গত বছর লন্ডন অলিম্পিকে কনিষ্ঠতম ভারতীয় প্রতিযোগী
• সব বয়সভিত্তিক স্তরে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন
• উঠে আসা শিলিগুড়ির কোচ অমিত দামের হাত ধরে |
|