মঙ্গলবার শাস্তি কমানোর বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে তীব্র চাপে থাকা মোহনবাগান কর্তারা কার্যত স্পনসরদের সমর্থন পেয়ে গেলেন।
কয়েকদিন আগেই ফুটবলারদের মাইনে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইউ বি কর্তারা। শনিবার ক্লাব-বোর্ডের সভায় ডার্বি ম্যাচে দল তুলে নেওয়ার ক্লাব কর্তাদের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেন কোম্পানির লোকজন। ক্লাব সূত্রের খবর, টুটু-অঞ্জনদের যুক্তি শোনার পর সভায় ইউ বি-র প্রতিনিধিরা অবশ্য বলে দেন, “আমাদের কাছে কোচ-ফুটবলারদের সুরক্ষার ব্যাপারটা সবার আগে। দেখবেন যাতে ওদের খেলোয়াড়জীবনে কোনও সমস্যা না হয়।”
কিন্তু মোহন-কর্তারা ১৫ জানুয়ারির সভায় কি নির্বাসন তুলে ওডাফা-টোলগেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবেন? কারণ করিম বেঞ্চারিফার টিমকে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলতে হলে বেশিরভাগ ফুটবলারই ক্লাবের কাছে রিলিজ চাইবেন বলে খবর। তখন ইউ বি কী করবে সেটাও দেখার। তবে ক্লাব প্রেসিডেন্ট টুটু বসু এ দিন বলে দিয়েছেন, “আশা করছি ফেডারেশন আমাদের যুক্তি শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সে জন্যই ওরা সভা ডেকে আমাদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে।” জানা গিয়েছে, কোনও আইনজীবী নন, ফেডারেশনের সভায় যাচ্ছেন ডার্বি ম্যাচে দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত যাঁরা নিয়েছিলেন সেই চার কর্তাই।
এমনিতেই সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভট্টাচার্যরা শাসকগোষ্ঠীর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ায় বিব্রত কর্তারা। তাতে যোগ দিয়েছেন কর্মসমিতির এক সদস্যও। আজ রবিবার সকালে বেহালায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে মোহনবাগানের নির্বাসন তোলার দাবিতে পথে নামছেন খেলোয়াড়দের সংস্থা ‘প্রাক্তনী’। মিছিলে থাকার কথা বদ্রু বন্দোপাধ্যায়, কাজল চট্টোপাধ্যায়, তপন দাস, অনিরুদ্ধ কোলে-সহ বিভিন্ন খেলার লোকজন। বিক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে দেখে মোহন-প্রেসিডেন্ট একটি প্রেস বিবৃতিও দিয়েছেন এ দিন সন্ধ্যায়। তাতে লেখা, “ডার্বি ম্যাচে দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা চার জনে মিলে নিয়েছিলাম। পরে কর্মসমিতির ২১ জন সদস্য সেটা অনুমোদন করেছে। আমরা এখন সঙ্কটের মধ্যে আছি। চেষ্টা করছি সেটা থেকে বেরোনোর।” |