|
|
|
|
সরকার গড়তে সময় চাইল জেএমএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়তে মরীয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। জোট সরকার গড়তে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা সেরে শুক্রবার রাতে রাঁচিতে ফেরেন জেএমএম নেতারা। শনিবারই তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার জন্য কিছু সময় চান।
আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শিবু সোরেন ও প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম নেতাদের কুড়ি জনের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন। জেএমএম সূত্রে খবর, রাজ্যপাল যাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদনের জন্য এখনই কোনও সিদ্ধান্ত না নেন, তার জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। পরে রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে হেমন্ত সোরেন বলেন, “রাজ্যপালের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিকল্প ও স্থিতিশীল সরকার গড়ার সম্ভাবনা এখনও যথেষ্ট উজ্জ্বল।”
জেএমএম নেতারা বেরিয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেসর নেতারাও একই অনুরোধ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে আসেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণানন্দ ত্রিপাঠী বলেন, “এখনও পরবর্তী নির্বাচনের দু’বছর বাকি রয়েছে।
রাজ্যে এখন রাষ্ট্রপতি শাসন কিংবা নতুন করে নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই।” আরজেডি-র পক্ষ থেকেও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে একই অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোডারমার রাজেডি বিধায়ক অন্নপূর্ণা ঘোষ বলেন, “দুই বড় দল আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুক। তাদের
প্রস্তাব পেলে আমরা আমাদের ভূমিকা ঠিক করব।”
সম্ভাব্য জোট সরকারে যাঁদের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গেও জেএমএম নেতারা কথা বলা শুরু করেছেন। তবে নির্দলদের দু’জন বিধায়ক এমনও রয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই বিতর্কও রয়েছে। তাদের সমর্থনে সরকার গড়া হলেও তাদের
মন্ত্রিসভায় রাখা হবে কিনা-তা নিয়েও কথাবার্তা চলছে। এক জেএমএম নেতার কথায়, “বিতর্কিতদের মন্ত্রিসভায় রাখা হবে না। সেই শর্তই দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেই শর্তে রাজিও আছেন।” তবে পুরনো জোট শরিক আজসু-কে এখনও দলে টানতে পারেনি জেএমএম। |
|
|
|
|
|