কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের স্পেকট্রাম আর হাতে না-থাকায় ১৯ জানুয়ারিই সারা রাজ্যে পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে ইউনিনর। আর এই ‘সুযোগে’ ওই মোবাইল পরিষেবা সংস্থার প্রায় ৫৬ লক্ষ গ্রাহককে নিজেদের দিকে টানতে ঝাঁপাচ্ছে বাকি সংস্থাগুলি।
এমনিতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কারও গ্রাহক ভাঙানোর জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করতে পারে না কোনও সংস্থা। তা ছাড়া, সার্বিক ভাবে সমান সুযোগ পাওয়ার কথা সব নতুন গ্রাহকেরই। তাই প্রত্যাশিত ভাবেই এ ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ সংস্থার (ইউনিনর) গ্রাহক টানতে প্রকল্প ঘোষণার কথা অস্বীকার করেছে মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি। কিন্তু যে সময়ে বা যে বয়ানে তারা এই সব সুযোগের কথা ঘোষণা করেছে, তাতে কার্যত আইন বাঁচিয়ে তারা ইউনিনরের বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের বাজার ধরার চেষ্টা করছে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।
ইউনিনরের পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পর ‘মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি’ (এমএনপি)-র সুযোগ নেবেন অধিকাংশ গ্রাহকই। কারণ, এর মাধ্যমে নম্বর একই রেখে অন্য সংস্থার পরিষেবা পাবেন তাঁরা। তাই ওই সব গ্রাহককে টানতেই অন্য সংস্থাগুলি আকর্ষণীয় ‘অফার’-এর গাজর ঝোলাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
যেমন ভোডাফোন জানিয়েছে, এমএনপি-র মাধ্যমে আসা যে কোনও নতুন প্রি-পেড গ্রাহক ১৭১ টাকার রিচার্জ করালে অন্য স্থানীয় ভোডাফোন নম্বরে ১০০০ মিনিট বিনামূল্যে কথা বলার সুযোগ পাবেন। অন্য সংস্থার ক্ষেত্রে তা হবে ৩০০ মিনিট। এই সুযোগ মিলবে ৩০ দিন পর্যন্ত। রাজ্যে সংস্থার প্রধান কর্তা সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এর ফলে ভোডাফোন গ্রাহকেরা কম দামে বেশি কথা বলার সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, আপাতত এই সুযোগ ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু থাকবে। যার ঠিক পরের দিনই রাজ্যে ইউনিনরের পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কথা। গত নভেম্বরের শেষ থেকে এমএনপি-র মাধ্যমে আসা গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে আইডিয়া-ও। সংস্থা জানিয়েছে, ওই গ্রাহকেরা অন্য আইডিয়া ফোনে ফোন করলে স্থানীয় কলের মাসুল হবে মিনিটে ১০ পয়সা। অন্য সংস্থার ক্ষেত্রে ৩০ পয়সা। যে কোনও এসটিডি মাসুল মিনিটে ৫০ পয়সা।
টাটা ডোকোমো অবশ্য ওই দুই সংস্থার মতো এমএনপি গ্রাহকদের জন্য আলাদা করে কিছু জানাতে চায়নি। রাজ্যে সংস্থার প্রধান কর্তা অশোক ঘোষের দাবি, সার্বিক ভাবেই তাঁরা নতুন ও পুরনো গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ দিয়ে থাকেন। যেমন, এখন ২৫, ১২৩ বা ১৯৭ টাকার রিচার্জ কুপনে বিভিন্ন রকম সুযোগ দিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু সংস্থা সূত্রে খবর, এ সব সুযোগ-সুবিধা সম্প্রতি বাজারে এনেছে টাটা-ডোকোমো। |