শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করল উত্তরবঙ্গে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, এ দিন উত্তরের সব জেলাতেই তাপমাত্রা বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় শুক্রবার বালুরঘাটে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পঞ্চায়েতের তরফে দাবি করা হয়েছে। বালুরঘাটে ৫ ডিগ্রি থেকে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ছিল। বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সদস্য নির্মল মাহাতো জানান, পিরোজপুর গ্রামে ঠান্ডায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। তাঁর নাম জুগনি মাহাতো (৬০)। রাতে ধান সেদ্ধ করে বৃদ্ধা মাটির বারান্দায় শুয়েছিলেন। সকালে দেহ বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয়। পঞ্চায়েত সদস্য নির্মলবাবু জানান, ওই এলাকারই পূর্ব চিঙ্গিশপুরে ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে মারা যান পরেশ মাহাতো (৪৯) নামে এক কৃষক। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “জেলার আটটি ব্লকে গরম চাদর, কম্বল ও বাচ্চাদের পোশাক পাঠানো হয়েছে।” |
শুক্রবার পাহাড়ের পাদদেশে শিলিগুড়িতেও উত্তরবঙ্গের আর অন্য শহরের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কম ছিল। গত বৃহস্পতিবারের ৩ ডিগ্রি থেকে বেড়ে গিয়ে এ দিন শুক্রবার শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি হয়েছে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে শুক্রবার তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৫ ডিগ্রি। এ দিন মালদহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে দাড়িয়েছে ৮ ডিগ্রিতে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “সর্বত্রই তাপমাত্রা বেড়েছে। পাহাড়ে তাপমাত্রা না বাড়লেও একই জায়গায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও বাড়তেই থাকবে।” |
এর পাশাপাশি, এ দিন আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে। তবে সমতলে তার প্রভাব পড়তে মোটামুটি ৭২ ঘণ্টা সময় লাগলেও সিকিম বা দার্জিলিঙে আগামী রবিবার থেকেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটি আসার পথে দুর্বল হয়ে না পড়লে পাহাড়ের পাদদেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী গ্যাংটক বা দার্জিলিঙের উঁচু এলাকায় তুষারপাতও হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। |