|
|
|
|
অভিযুক্ত নেতাকে ধরার দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
আত্মীয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত ফালাকাটা ব্লকের কালিপুর গ্রামের সিপিএম নেতাকে পুলিশ ধরতে না-পারায় এলাকায় নানা প্রশ্ন দানা বাঁধছে। পুলিশের দাবি ওই নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু, বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, অভিযুক্তকে মাঝেমধ্যে গ্রাম লাগোয়া এলাকায় দেখা যাচ্ছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূল সরব। সিপিএম বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে পাল্টা প্রচার করছে। পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নামে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রজু হয়েছে। পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।” সোমবার সন্ধ্যায় ফালাকাটা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপুর গ্রামের ঘটনা। নির্যাতিতা গৃহবধূ ওই দিন গভীর রাতে ফালাকাটা থানায় গিয়ে প্রতিবেশী ওই আত্মীয় তথা পঞ্চায়েত সদস্য আনন্দ দাসের নমে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, কিছু দিন ধরে তিনি তাকে রাস্তাঘাটে পেয়ে নানা ভাবে উত্যক্ত করছিলেন। সোমবার রাতে শৌচাগার থেকে ঘরে ফেরার সময় বাঁশ ঝাড়ের আড়ালে দাড়িয়ে থাকা পঞ্চায়েত সদস্য তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ। মহিলার চিৎকারে ভ্যান রিক্শা চালক স্বামী ঘর থেকে বেরোলে আনন্দবাবু পালিয়ে যান। মহিলার স্বামী ‘চোর-চোর’ চিৎকার করলে এলাকার লোকজন ছুটে যান। স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল বলেন, “ওই বাড়ির পাশ দিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যকে ছুটে যেতে দেখলাম। পরে শুনি তিনি তাঁর আত্মীয়া ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালান।” পুলিশ ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা সহ ছেঁড়া পোশাক নিজের হেপাজতে রেখেছে। পর দিন বিষয়টি মিটিয়ে নেবার জন্য ওই পরিবারের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য আলোচনায় বসতে চান। নির্যাতিতার স্বামী বলেন, “আমরাও সিপিএম সমর্থক। ওই নেতা আমার আত্মীয় হয়েও এমন অপকর্ম করবেন ভাবতে পারিনি।” অভিযুক্ত আনন্দবাবুর স্ত্রী শোভা দেবী বলেন, “স্বামী নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি সে দিন বাজার থেকে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ বাদে তৃণমূলের কিছু লোক বাড়ির সামনে এসে চিৎকার করতে থাকে।” সিপিএম শিশারগোড় শাখা সম্পাদক ভবেশ বালো বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। পুরোটাই তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। মানুষ তা বুঝতে পারছে।” তৃণমূল নেতা দীপক সরকার সিপিএমের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য যে জঘন্য কাণ্ড ঘটালেন তা আমরা কেউ মানতে পারছি না। এখন তা আড়াল করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা না হলে আন্দোলন করা হবে।” |
|
|
|
|
|