|
|
|
|
খাস জমিকে ব্যক্তি-মালিকানাধীন বলে রিপোর্ট |
ফের শো-কজ ৩ জনকে |
অনির্বাণ রায় • জলপাইগুড়ি |
সরকারি জমি ব্যক্তি মালিকানার দেখিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জেরে ফের শো কজ করা হল জলপাইগুড়ির সদর মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে। গত ৩ জানুয়ারি ভুল রিপোর্ট দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে মহকুমা আধিকারিক সহ ৩ কর্মীকে শো কজ করা হয়। শো কজের উত্তর সন্তোষজনক হয়নি বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। ফলে, ফের বৃহস্পতিবার তাদের শো কজের নোটিশ ধরানো হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে লিখিত উত্তর দিতে বলা হয়েছে। সরকারি জমি ব্যক্তি মালিকানার দেখিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জেরে ফের শো কজ করা হল জলপাইগুড়ির সদর মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে। গত ৩ জানুয়ারি ভুল রিপোর্ট দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে মহকুমা আধিকারিক সহ ৩ কর্মীকে শো কজ করা হয়। শো কজের উত্তর সন্তোষজনক হয়নি বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। ফলে, ফের বৃহস্পতিবার তাদের শো কজের নোটিশ ধরানো হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে লিখিত উত্তর দিতে বলা হয়েছে। |
|
এই সেই জমি। ছবি: সন্দীপ পাল। |
প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের শালগাছ কাটার জন্য বন দফতরের ছাড়পত্র আদায় করতেই ভূমি দফতর থেকে ভুল রিপোর্ট বের করার অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়িতে। গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে জলপাইগুড়ি লাগোয়া মোহিতনগরের সর্দারপাড়া এলাকায় গাছ কাটার ঘটনাটি ঘটেছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির পুরোনো রেকর্ড অনুযায়ী রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে শো কজের উত্তরে জানানো হয়। এই উত্তর পেয়ে ফের তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, নতুন রেকর্ড তৈরি হয়ে গেলেও কেন তা না দেখে পুরোনো রেকর্ড দেখা হল। এ বারেও সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দফতর সূত্রে জানান গিয়েছে। শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা শাসক তথা জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “প্রথম শো কজের উত্তর আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। সে কারণেই ফের শো কজ করা হয়েছে।” সদর মহকুমা ভূমি সংস্কার আধিকারিক নরেন্দ্র সিংহ মন্তব্য করতে চাননি।
অভিযোগ সর্দার পাড়া এলাকার একটি পরিবার তাদের জমিতে থাকা ৫০টি শালগাছ কাটার অনুমতি চেয়ে গত ডিসেম্বর মাসে বন দফতরে আবেদন করে যে জমিতে শালগাছ রয়েছে তার মালিকানা সেই পরিবারের কাছে আছে কি না ভূমি দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সদর ভূমি দফতর জানিয়ে দেওয়া হয় জমিটি সেই পরিবারের নামেই আছে।
এর পরে বন দফতর গাছ কাটার ছাড়পত্র দিতেই গত মাসের শেষ সপ্তাহে এক দিনেই সব ক’টি গাছ কেটে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে তদন্ত করে দেখা যায়, যে জমিতে শালগাছ ছিল সেটি সরকারি খাস জমি। অথচ দফতরের রিপোর্টে তা ব্যক্তি মালিকানার বলে দেখানো হয়েছে। এর পরেই দু’দফায় শো কজ করা হয়েছে আধিকারিকদের। বৈকুন্ঠপুরের ডিএফও ধর্মদেব রাই বলেছেন, ভূমি সংস্কার দফতর থেকে ভুল রিপোর্ট না দিলে কিছুতেই গাছগুলি কাটা পড়ত না। যাঁরা গাছ কেটেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পরিবারের অন্যতম সদস্য তপন রায় বলেন, “শালগাছের জমিটি আমাদের পাট্টা পাওয়া। ভূমি সংস্কার দফতর থেকে তার রিপোর্ট দিয়েছে। অন্য রিপোর্ট দিলে কিছু করার নেই।” |
|
|
|
|
|