|
|
|
|
কে দেবে ত্রিফলার বিল, চাপানউতোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
ত্রিফলা আলোর বিল মেটাবে কে তা নিয়ে পুরসভা ও এসজেডিএ-এর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ পর্ষদ সূত্রের খবর, তিন মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি বিল হয়েছে।
পর্ষদ জানিয়েছে, পুরসভার কাছে পাঠানো হবে ত্রিফলার বিদ্যুৎ বিল। যদিও বিল দেবে জলপাইগুড়ি পুরসভা না বলে লিখিত ভাবে এসজেডিএকে জানিয়ে দিয়েছে। এই মাসে পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে বিল পৌঁছে দেবে পর্ষদ। পুর কতৃপক্ষ কিংবা এসজেডিএ কোনও পক্ষই বিল না দিলে ত্রিফলার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে বলে পর্ষদ জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করার কথা পর্ষদ চিন্তাভাবনা করছে।
গত অক্টোবর মাসে জলপাইগুড়ি শহরে গোশালা মোড় থেকে রায়কত পাড়া এসজেডিএর বসানো ত্রিফলা আলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পর্ষদ। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসের ত্রিফলার বিদ্যুত বিল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই সেই বিল পাঠানো হবে বলে পর্ষদ জানিয়েছে। পর্ষদের নথি অনুযায়ী, ত্রিফলায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য এসজেডিএ তরফে আর্জি করা হয়। তাতে জলপাইগুড়ি পুরসভার নামে বিদ্যুৎ সংযোগ চাওয়া হয়। এই বিষয়ে পর্ষদকে লিখিত ভাবে সম্মতি জানান পুরসভার চেয়ারম্যান। সে কারণেই চলতি মাসেই পুরসভার কাছে যাবে ত্রিফলা আলোর বিল। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ত্রিফলার বিদ্যুৎ বিল তারা দেবেন না। গত সপ্তাহেই পুর কতৃপক্ষ বৈঠক করে লিখিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নথিবদ্ধ করিয়েছেন। ফলে, স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে জলপাইগুড়িতে ত্রিফলা আলোর ভবিষ্যত কী? পুর কর্তৃপক্ষ বিল না মেটানোর কারনে যদি এসেজেডি এই বিল মেটানোর উদ্যোগী হলে জটিলতা তৈরি হবে। কারণ, পুরসভার নামে থাকা বিদ্যুৎ সংযোগের বিল কীভাবে এসজেডিএ মেটাবে সে প্রশ্ন উঠবে।
এর পাশাপাশিই, জলপাইগুড়িতে এই ঘটনা ঘটলে লাগোয়া শিলিগুড়ি পুরসভা অথবা যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ত্রিফলা বসানো হয়েছে। সেখানেও পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত ভবিষ্যতে বিল দিতে অস্বীকার করতে পারে বলে এসজেডিএর অন্দরেই জল্পনা শুরু হয়েছে। আপাতত পর্ষদ বিল পাঠনোর পরে পুরসভা কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে পর্ষদকে কী জানায় তার অপেক্ষায় রয়েছে এসজেডিএ। যদিও এসজেডিএর জলপাইগুড়ি জেলার সদস্য চন্দন ভৌমিক বলেন, “আমাদের কাছে ত্রিফলার নথি রয়েছে। তাতে জলপাইগুড়ি পুরসভার সম্মতিপত্র রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনে পুরসভার চেয়ারম্যানও সই করেছেন। এর পরে কী ভাবে পুরসভা বিল দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। পুর কর্তৃপক্ষ নিজেই শহরে ত্রিফলা আলো বসানোর জন্য সুপারিশ করেছিল। তাই তাঁরা আইনত বিল দিতে বাধ্য।” তবে এই প্রসঙ্গে পুরসভার যুক্তি, পুরসভার প্রস্তাব না মেনে শহরের ইচ্ছেমত আলো বসিয়েছে এসজেডিএ। বিদ্যুৎ পর্ষদ এবং এসজেডিএর তরফে পুরসভার সম্মতিপত্রের কথা বলা হলেও পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি শহরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে তড়িঘড়ি এসজেডিএ ত্রিফলার সংযোগ চায়। দেরি হলে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে আলো জ্বালানো যাবে না বলেই সেই সময়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি। প্রসঙ্গত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা পরে এসজেডিএকে চিঠি দিয়ে বিল দেব না জানিয়ে দিয়েছি। পর্ষদ যদি পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বিল পাঠায়, তবে সেই বিল এসজেডিএকে পাঠিয়ে দেব। তাতে যদি পর্ষদ সংযোগ কেটে দেয় তাতে কোনও রকম আপত্তি নেই। ত্রিফলা আলো বসাতে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসজেডিএ বরং সে বিষয়ে মাথা ঘামাক।” |
|
|
|
|
|