ভেঙে দেওয়া হল তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা কিষান সেলের সমস্ত কমিটি। সেলের জেলা সভাপতি অবনী দাসকেও ‘অপসারিত’ করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সামনে এসেছে তৃণমূলের অন্দরের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’।
দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “দলের অনুমোদন না নিয়েই অবনীবাবু নিজের ইচ্ছে মতো কমিটি তৈরি করছিলেন। সেলের ব্লক সভাপতি করে দিচ্ছিলেন কাউকে কাউকে। এতে ব্লকে সমস্যা হচ্ছিল।” দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নির্দেশেই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ।
অবনীবাবুর পাল্টা দাবি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ‘এক্তিয়ার’ নেই দলের জেলা পর্যবেক্ষকের। তাঁকে সভাপতি পদ থেকে অপসারণের ‘দায়’ও জ্যোতিপ্রিয়রই বলে দাবি অবনীবাবুর। তিনি বলেন, “পদ থেকে সরানোর আগে শো-কজ করতে হয়। তা করা হয়নি।”
জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে অবনীবাবুকে কিষান সেলের সভাপতি করা হয়। কিন্তু তার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ‘নিয়ম বহির্ভূত’ নানা কাজকর্মের অভিযোগ যায় দলের রাজ্য কমিটির কাছে। যদিও অবনীবাবু জানান, দিন পনেরো আগে কিষান সেলের রাজ্য সভাপতি তথা কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না তাঁকে সভাপতি পদে অনুমোদিত করেছেন। অবনীবাবুর কথায়, “এরপর থেকে ব্লক কমিটি তৈরি করছিলাম। হাবরায় কমিটি তৈরি নিয়ে সেখানকার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে আলোচনা করিনি। তাই নিয়ে সমস্যা।”
এ দিকে আজ, শনিবার মধ্যমগ্রামে জেলার ২২টি ব্লকের কিষান সেলের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা বলে দাবি করেছেন অবনীবাবু। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বা বেচারামবাবু নিষেধ না করলে সেই বৈঠক হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বেচারামবাবু অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। খাদ্যমন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য, “দলের নিয়ম-নীতি সকলকেই মেনে চলতে হবে। পদ চলে যাওয়ায় অবনীবাবু এখন ভুল কথা বলছেন। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তা দল খতিয়ে দেখছে।” যত দিন নতুন সভাপতি মনোনীত না হচ্ছেন, ততদিন তাঁকেই কাজ চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মলবাবু। |