|
|
|
|
ধরমপুরে সভা |
‘আরাবুলের আদর্শে’ চলার ডাক তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আর কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নেতাই-কাণ্ডে অভিযুক্ত ‘ফেরার’ সিপিএম নেতা অনুজ পাণ্ডে ও ডালিম পাণ্ডেদের খাসতালুক লালগড়ের ধরমপুরে সভা করে ভাঙড়ের ‘লড়াকু নেতা আরাবুলের আদর্শে’ সিপিএমকে আটকানোর ডাক দিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। শুক্রবার বিকেলে ধরমপুরের স্থানীয় ফুটবল মাঠে সন্ত্রাস বিরোধী সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূলের ধরমপুর অঞ্চল কমিটি। ওই সভায় তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ সাফ জানিয়ে দেন, “ভাঙড়ে আরাবুল কোনও দোষ করেননি। তিনি কোনও হামলাতেও জড়িত নন। আমরা আরাবুলের পাশে আছি। লড়াকু আরাবুল আমাদের আদর্শ।” নির্মলবাবুর দাবি, “আরাবুলের মতো দলীয় নেতারা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে কুৎসা-অপপ্রচার শুরু হয়েছে।” সভার অন্য বক্তা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা বলেন, “লালগড়ে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এলাকায় শান্তির পরিবেশ। তাতে শঙ্কিত হয়ে এতদিন গর্তের ভিতরে থাকা সিপিএম এলাকায় ফের অশান্তি পাকাতে চাইছে। ওদের ফের গর্তে ঢুকিয়ে দিতে হবে।”
গত ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় ধরমপুর এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী লালগড়ের শাঁখাখ্যুলা গ্রামে সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিনই গ্রেফতার হন চার সিপিএম সমর্থক। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন ধরমপুরে সভার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের ধরমপুর অঞ্চল সভাপতি দিলীপ মাহাতোর হুঁশিয়ারি, “৩৪ বছর ধরে সিপিএম ধরমপুরকে শ্মশান করে রেখেছিল। মানুষকে শোষণ করে অনুজ পাণ্ডেরা প্রাসাদোপম বাড়ি বানিয়েছিলেন। সিপিএম ফের ধরমপুরে মাথা তোলার চেষ্টা করলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|