|
|
|
|
মাওবাদী হানায় নিহতদের পরিবারকে সাহায্য |
আরও ৮৯ জনের জন্য ক্ষতিপূরণ চাইল জেলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাওবাদী হামলায় নিহত আরও ৮৯ জনের জন্য ক্ষতিপূরণের অর্থ চাইল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারের এই প্রকল্পে ২৭৩টি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২৬ জন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। সম্প্রতি আরও ৩০টি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। এ বার আরও ৮৯টি পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চাইল জেলা প্রশাসন। অর্থাৎ আর ২৮টি পরিবার বাকি রইল। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ চক্রবর্তী বলেন, “ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে বেশ কিছু নথির প্রয়োজন হয়। সেই নথি সংগ্রহ করতে গিয়েই কিছুটা দেরি হচ্ছে। দ্রুত গতিতে সেই কাজ শেষ করে এ বার একসঙ্গে অনেকগুলি পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল, ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে মাওবাদী হামলায় যত জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ওই সময়ের পর থেকে ২৭৩ জনের একটি তালিকা তৈরি করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তার বাইরেও কেউ রয়েছে কি না, তা নিয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে। কিন্তু তালিকায় রয়েছেন এমন অনেকেই এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রথম দিকে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ক্ষতিপূরণ পেতে হলে সুরতহাল রিপোর্ট, থানায় অভিযোগের প্রমাণ, তদন্ত রিপোর্ট, পঞ্চায়েতের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র-সহ বিভিন্ন নথির প্রয়োজন রয়েছে। বেশিরভাগ সুরতহাল রিপোর্ট ছিল বাংলায় লেখা। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, বাংলা লেখা রিপোর্ট চলবে না। ইংরেজিতে লিখতে হবে। এই ভাবে প্রথম দফায় পাঠানো ২১ জনের ক্ষতিপূরণের তালিকা ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তাছাড়াও সেই সময়ও জঙ্গলমহলের বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত বন্ধ ছিল। ফলে স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র সংগ্রহ করাও কঠিন হয়েছিল। পরবর্তীকালে জেলাশাসককে সেই রিপোর্ট দিতে হয়। বারবার তালিকা পাঠানো ও তার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রক্রিয়া করতে প্রথমের দিকে বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল। প্রথম দফায় ২১ জনের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর কিছুটা গতি আসে। এ বার দ্রুত গতিতে বাকি পরিবারগুলির হাতেও ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|