বাংলার ক্রীড়াবিদদের সম্মানে বঙ্গ খেলরত্ন পুরস্কার ঘোষণার দিনই পাকিস্তান যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইডেনে দিন কয়েক আগের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রাজ্য সরকার এবং সিএবি-র আতিথেয়তায় পাক বোর্ডের কর্তারা এতটাই মুগ্ধ যে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রৌপ্য ফলক পাঠিয়ে দেওয়া হল পাক বোর্ডের তরফে। যে ফলকে সোনার জলে উর্দুতে লেখা শুভেচ্ছাবার্তা আছে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে একই ফলক ও বার্তা পৌঁছেছে সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার কাছেও।
মুখ্যমন্ত্রী জন্য সুখবর থাকলে, বাংলার জন্যও থাকছে। আগামী বছর ১২ জানুয়ারি থেকে রাজীব খেলরত্নের আদলে বঙ্গ খেলরত্ন পুরস্কার চালু হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী থাকার সময় আমি রাজীব খেলরত্ন পুরষ্কার চালু করি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কৃতি খেলোয়াড়দের সম্মান জানানোর জন্য এ রকম কোনও পুরষ্কার নেই। তাই সিনিয়র এবং জুনিয়র খেলোয়াড়রা আগামী বছর থেকে এই সম্মান দেওয়া হবে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হল সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি রাজ্যের স্টেডিয়াম উন্নতির জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের কথাও বলা হল। যেখানে থাকছেন চুনী গোস্বামী, গৌতম সরকারের মতো অতীতের নামী ফুটবলাররা আছেন। কোন স্টেডিয়ামের কী অবস্থা তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে। বিশেষ করে ক্যানিং, নয়াগ্রাম, শালবনি, যাদবপুর, বারাসত এবং সল্টলেক স্টেডিয়ামের অবস্থা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা ফুটবলের তিন প্রধান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডানকে খেলতে নিয়ে যাওয়া হবে জঙ্গলমহল এবং আয়লা-অধ্যুষিত অঞ্চলে। |