প্রাণী চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে শেষ পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানার নতুন অতিথিটিকে ‘ক্র্যল’ বা শালবল্লির ঘেরাটোপে রাখার ব্যবস্থা করলেন কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চিড়িয়াখানায় শালবল্লি দিয়ে ঘোরাটোপ তৈরির কাজ শুরু হয়। রাতে বনকর্মীদের বিস্তর চেষ্টায় হাতিটিকে ক্র্যাল-এর ভিতর ঢোকানো সম্ভব হয়। শুক্রবার দুপুরে মিনি চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, ঘোরাটোপের ভিতর হাতিটি খোশমেজাজেই রয়েছে। এ দিন তারিয়ে তারিয়ে কাঁচা শশা, কুমড়ো ও লাউ খেয়েছে সে। এ ছাড়া গুড় মেশানো ভাতও খেয়েছে সে।
মানুষের সঙ্গ পাওয়া দলছুট শাবকটিকে দলমার পাল আর ফিরিয়ে নেবে না। পোষ মানানোর জন্য উপযুক্ত মাহুত বা প্রশিক্ষিত বনকর্মীর তত্ত্বাবধানে বুনো হাতিদের কিছুদিন ক্র্যলে রাখা হয়। এ ক্ষেত্রে হাতিটিকে বাগে আনার মতো মাহুত বা প্রশিক্ষিত বনকর্মী ঝাড়গ্রামে না থাকায় ঘেরাটোপের ভিতরেও হাতিটির পিছনের দু’টি পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছে। |
ঝাড়গ্রামের সরকারি প্রাণী চিকিৎসক অরুণাংশু প্রতিহার বলেন, “হাতিটি আপাতত সুস্থ আছে। তবে যত শীঘ্র সম্ভব এটিকে কোনও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠালে ভাল হয়।” মঙ্গলবার কলাইকুণ্ডার জঙ্গল থেকে উদ্ধারের পর সেই রাতেই বন দফতরের ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হয় হাতিটির। কিন্তু ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের মিনি চিড়িয়াখানাটিতে হাতি রাখার কোনও পরিকাঠামো নেই। হাতিটির দস্যিপনায় নাজেহাল হয়ে মঙ্গলবার রাত থেকে তার চারটি পায়েই দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়। দড়ির শক্ত বাঁধনে হাতিটির পা ফুলে ক্ষত হয়ে যায়। চিন্তায় পড়েন বন দফতরের আধিকারিকেরা। শেষ পর্যন্ত হাতিটির জন্য ‘ক্র্যল’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের ডিএফও অশোকপ্রতাপ সিংহ বলেন, “হাতিটিকে পাকাপাকি ভাবে কোথায় রাখা হবে তা ঠিক করবে রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখা। আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।” |