|
|
|
|
নিখোঁজ শিশুর দেহ মিলল পড়শির কুয়োয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লিলুয়া |
আট দিন নিখোঁজ থাকার পরে প্রতিবেশীর কুয়ো থেকে উদ্ধার হল এক সাড়ে চার বছরের শিশুকন্যার দেহ। শুক্রবার, লিলুয়ার দক্ষিণ চকপাড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃত শিশুটির নাম খুশি কেশরী। জন্মের পর থেকেই সে হৃৎপিণ্ডের অসুখে ভুগছিল। ভাল করে হাঁটতেও পারত না। কী ভাবে সে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরের ঢাকা দেওয়া ওই পাতকুয়ায় পড়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
|
খুশি কেশরী |
পুলিশ জানায়, দুই মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে লিলুয়ায় এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন পেশায় ঠিকা শ্রমিক রাজেশ কেশরী। ৪ জানুয়ারি বাড়ির সামনে থেকেই নিখোঁজ হয় তাঁদের ছোট মেয়ে খুশি। ওই দিনই নিখোঁজ-ডায়েরি করা হয়। খুশির খোঁজে তল্লাশিও চলে। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। এ দিন তারাপদ দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা নিজের বাড়ির কুয়ো থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়দের জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে খুশির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।
এই খবর ছড়াতেই খুশির বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়। সেখানে আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। আসেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী তথা ওই এলাকার বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীববাবু বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। এই মৃত্যুর পিছনে চক্রান্ত আছে বলে পরিবারের অভিযোগ। পুলিশকে সঠিক ভাবে তদন্ত করতে বলেছি।” |
|
কিনারার খোঁজে নিখোঁজ থাকা শিশুর দেহ মিলল কুয়োর ভিতরে। |
খুশির মা মীরাদেবী জানান, জন্ম থেকেই মেয়ে হৃৎপিণ্ডের অসুখে ভুগছিল। গত বছরে তাঁরা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে সাহায্য চান। মুখ্যমন্ত্রীও ওই দুঃস্থ পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। তাঁর উদ্যোগে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে খুশির হার্ট-অপারেশন হয়। এখনও তার চিকিৎসা চলছিল। মীরাদেবীর অভিযোগ, “যে মেয়ে ভাল করে হাঁটতে পারত না, সে অত দূরে গেল কী ভাবে? মনে হয় ওকে কেউ মেরে কুয়োয় ফেলে দিয়েছে।”
কিন্তু কেন মেয়েটিকে মেরে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হবে তা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়নি। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সদর নিশাত পারভেজ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা না কি খুন, এখনও স্পষ্ট নয়। ময়না-তদন্তের পরেই তা বলা যাবে।” |
|
|
|
|
|