|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে... |
|
জলপাইগুড়িতেই থ্যালাসেমিয়া অনেক বেশি |
উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার চেয়েও জলপাইগুড়িতেই থ্যালাসেমিয়া অনেক বেশি। কেন?
বংশগত কারণে। তবে এ ছাড়াও আরও অন্য কোনও কারণ আছে কি না জানি না।
শুধু কি তাই?
দেখুন এটা জেনেটিক রোগ। সচেতনতা কম বলে এই রোগ ধরতে অনেক সময় লেগে যায়। প্রথম দিকে তো ধরাই যায় না।
এই থ্যালাসেমিয়া সাধারণত কোন বয়সে বেশি হয়?
পঞ্চাশ থেকে ষাট এই বয়সের রোগীরা এত কাল আমাদের কাছে বেশি আসতেন। এখন ছবিটা বদলে গেছে। চোদ্দো-পনেরো বছরের ছেলে-মেয়েরাও আসছে।
ধরা পড়লে কি সম্পূর্ণ সারে?
|
ড. সোমি ভট্টাচার্য
যোগাযোগ- ৯৪৩২৯৪০১৩৩ |
সম্পূর্ণ সারে না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু এর জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রক্তের বদলও প্রয়োজন হয়।
শুনেছি জলপাইগুড়িতে এই থ্যালাসেমিয়ার অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই?
হ্যাঁ। তবে সাময়িক চিকিৎসা করা হয়। তবে সেটা নির্ভর করে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কতটা তার উপর।
বিয়ের আগে দেখা উচিত দু’জনেই থ্যালাসেমিয়া বাহক কি না?
অবশ্যই। এটা না হলে সন্তানের উপর তার প্রভাব পড়ে। সব চেয়ে বড় কথা মানুষ এখন এতটাই সচেতন যে এখন দেখছি জলপাইগুড়িতে বিয়ের আগে ছেলেমেয়েরা নিজে থেকেই আমাদের কাছে আসছেন। পরীক্ষাও করাচ্ছেন।
গ্রাম-বাংলার ছবিটা তো অন্য রকম। অনেকেই ভয় পান এটা বুঝি খারাপ কিছু। ফলে চিকিৎসাও করান না। আপনারা কি কিছু করছেন না?
আমরা গ্রাম বাংলায় শিবির করে সেটা প্রচারও করছি। ভাল ফলও পেয়েছি।
কী কী সাবধানতা নেওয়া যায়?
যদি জানা যায় কেউ থ্যালাসেমিয়ার বাহক তা হলে বিয়ে না করাই ভাল। করলেও উপযুক্ত চিকিৎসার পর।
এই রোগ হলে বুঝব কী করে?
যখন তখন দুর্বল লাগা, খিদে না থাকা, পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সে দৌড়াদৌড়ি করতে চায় না। স্কুলে বসে ঝিমোয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে অ্যানিমিয়া রোগী পাই। অ্যানিমিয়া সারতে না সারতেই তার জন্ডিসও হয়। তখনই বোঝা যায় এটা থ্যালাসেমিয়ার বহিঃপ্রকাশ। |
সাক্ষাৎকার: বিপ্লবকুমার ঘোষ
ছবি: সন্দীপ পাল |
|
|
|
|
|