|
|
|
|
মাথাপিছু খাদ্য বণ্টনের প্রস্তাব এ বার কেন্দ্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রস্তাবিত খাদ্য সুরক্ষা আইনে এ বার মাথাপিছু খাদ্য বন্টনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। খাদ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত আইনের আওতায় গ্রামের ৭৫ শতাংশ ও শহরের ৫০ শতাংশ মানুষকে মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। তিন টাকা কেজি দরে চাল, ২ টাকা কেজি দরে আটা এবং ১ টাকা কেজি দরে অন্য দানাশস্য কিনতে পারবেন তাঁরা।
খাদ্য ও গণবণ্টন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার পরেই মাথাপিছু বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। আগে পরিবারপিছু ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনেক সাংসদ বলেন, সব পরিবারের সদস্য সংখ্যা এক নয়। তাই মাথাপিছু বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তবে আজও স্থায়ী কমিটিতে বিলটি চূড়ান্ত করতে পারেনি কেন্দ্র।
১০০ দিন কাজের প্রকল্পকে গত লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের অন্যতম সাফল্য বলে তুলে ধরেছিল কংগ্রেস। আগামী লোকসভা ভোটে খাদ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে সেই প্রচার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কিন্তু ওই বিলের খসড়া তৈরি করতেই অনেক সময় লেগে গিয়েছে। তার পরে স্থায়ী কমিটিও বিলটি চূড়ান্ত করতে দেরি করছে। ফলে কিছুটা অধৈর্য কংগ্রেস।
বিলটির নানা দিক নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপির। কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রাম ও শহরের দরিদ্র পরিবারে সন্তান জন্মানোর পর দু’বছর মায়েদের মাসে ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ৬ মাস পর্যন্ত মাসে পাঁচ কেজি করে ভর্তুকিমূল্যে খাদ্যশস্যও দেওয়া হবে। স্থায়ী কমিটির বিজেপি সদস্যদের মতে, খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু হলে কম দামে খাদ্যশস্য পাবেন মানুষ। ফলে গ্রামে কোনও কাজের জন্য লোক পাওয়া যাবে না। সন্তান জন্মের পরে মায়েদের টাকা দিলে জন্মের হার বেড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা বিজেপির।
তবে কংগ্রেস ও সরকারের এক নেতা জানিয়েছেন, বিলটি তাঁরা আসন্ন বাজেট অধিবেশনে পাশ করানোর চেষ্টা করবেনই। বিজেপি এই বিলের বিরোধিতা করলে তাদেরই ক্ষতি হবে। |
|
|
|
|
|