|
|
|
|
দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ড |
নির্যাতিতার বাড়িতে অখিলেশ, প্রশ্ন রাহুলের ভূমিকায়
সংবাদসংস্থা • বালিয়া |
দিল্লির সেই নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তরুণীর বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিলেন কুড়ি লক্ষ টাকার চেকও। আর সেই সঙ্গেই মেয়েটির ভাই আজই প্রশ্ন তুললেন গোটা ঘটনায় রাহুল গাঁধীর ভূমিকা নিয়ে। বস্তুত, ওই তরুণীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, রাহুল এক বারও তাঁদের কারও সঙ্গে ফোনেও কথা বলেননি। আর এই বিষয়টি নিয়ে যে মেয়েটির পরিবার অত্যন্তই ব্যথিত তা আজ প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর ভাই।
ওই তরুণীর ভাইয়ের কথায়, “রাহুল গাঁধী, যিনি সব সময় বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ান, তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে না আসায় আমরা ব্যথিত। আমাদের একটা ফোন পর্যন্ত উনি করেননি।” স্পষ্টত ক্ষোভ ঝরে পড়েছে ছেলেটির গলায়। সিঙ্গাপুর থেকে মেয়েটির দেহ আসার পরে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। অথচ রাহুল নিজে এক বারও সমবেদনা জানাতে এগিয়ে আসেননি। সেই কথা মনে করিয়েই তরুণীর ভাইয়ের বক্তব্য, রাহুলের এমন আচরণে তাঁরা বিস্মিত। আজ মেদাওয়ার কালা গ্রামে ওই তরুণীর বাড়িতে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন অখিলেশ যাদব। প্রথমে বাইরে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন বাড়ির পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে। কিছু ক্ষণ পরে ভিতরে ঢুকে দেখা করেন ওই তরুণীর মায়ের সঙ্গে।
অখিলেশের বক্তব্য, সরকার ওই তরুণীর পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও, এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর কথায়, “এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। গোটা বিশ্বে কখনও এ রকম ঘটেছে বলে মনে হয় না। দেশের লোক এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ। আর সেই রাগ তাঁরা প্রকাশও করছেন।” দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের আরও এক বার কড়া শাস্তির দাবি করেছেন অখিলেশ। কিন্তু ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার যে দাবি দেশ জুড়ে উঠেছে, সে বিষয়টি তিনি সযত্নে এ দিন এড়িয়ে গিয়েছেন। আজই অখিলেশ ঘোষণা করেন, ওই তরুণীর স্মৃতিতে গ্রামে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য সরকার জমির ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সেই সঙ্গেই অখিলেশ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ওই তরুণীর নামে হওয়া আইনত সম্ভব না। মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই হেল্প লাইন চালু করেছে। এ বিষয়ে অখিলেশ আজ বলেন, “নিপীড়িত মহিলারা যাতে সাহায্য পান, তার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে।” |
|
|
|
|
|