দু’জনই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। কিন্তু সরাসরি না হলেও ঘুরিয়ে নানা কারণে তাঁদেরকে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে জেলায় তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দু’টি ‘বিরোধী গোষ্ঠী’ রয়েছে। পুরনো এই বিবাদ ভুলে শুক্রবার সিউড়ি পুরসভায় একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ ও জেলা সভাপতিকে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দু’জনের মধ্যে কানে কানে কিছু কথাও হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে শতাব্দী রায় ও অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্ক তিক্ত হয়। সাংসদ হওয়ার পরে তাঁর কোটার টাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্স সিউড়ি পুরসভাকে দিয়েছিলেন সাংসদ। কিন্তু সেই অ্যাম্বুল্যান্স না নেওয়ার জন্য এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করায় শেষ পর্যন্ত দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জন কর। তিনি আবার অনুব্রতবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। |
তাই অঞ্জনবাবুকে বার বার আড়াল করার অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কথায়, বিরক্ত হয়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্স অন্য একটি সংস্থাকে দিয়ে দেন সাংসদ। উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় সিউড়ির পুরপ্রধান হওয়ার পরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন সাংসদের কাছে। আবার উজ্জ্বলবাবুও অনুব্রতবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে ঘিরে মাঝে মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলা রাজনীতি। মারামারি, বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, খুনঅনেক ঘটনাই ঘটেছে। সাম্প্রতিক কালে লাভপুর, নানুর-সহ জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা তার প্রমাণ। দলীয় কর্মী সমর্থকদের কথায়, তা স্পষ্ট। ‘দ্বন্দ্ব’ ভুলে এ দিন জেলা সভাপতি সাংসদের প্রশংসা করে বলেন, “উনি উন্নয়ন ছাড়া আর কিছু বোঝেন না। তিনি যা উন্নয়ন করেছেন বিদায়ী সিপিএম সাংসদ তা করেননি।” এ দিন সাংসদ বলেন, “সাধ্যমতো উন্নয়নের চেষ্টা করছি।” |