লোবা-কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বীরভূমের পুলিশ সুপারের পেশ করা রিপোর্ট প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার সিউড়িতে এসপি অফিস ঘেরাও করে গণ-বিক্ষোভ করল লোবার কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। এই কর্মসূচি অবশ্য পূর্বঘোষিত ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা দাবি করেন, গত ৬ নভেম্বর লোবায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি চালায়নি। কোনও গ্রামবাসী গুলিতে আহতও হননি।
এই রিপোর্ট ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করে এ দিন বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। ছোট আকারের ওই মিছিলে মূলত ছিলেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্য ও লোবা-কাণ্ডে আহতেরা। ছিল পিডিএস, এসইউসি এবং শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। কমিটির পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপিও পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়। ওই স্মারকলিপিতে ‘মিথ্যা’ রিপোর্ট প্রত্যাহার, লোবায় গুলি চালোনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার। পুলিশ সুপার অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ কমিটির কিছু সদস্য, পূর্ণিমা ডোম, জীবন বাগদির মতো আহতেরা, পিডিএসের রাজ্য সম্পাদক সমীর পূততুন্ড, আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি মৃণাল বসু, এসইউসি-র নেতা মানস সিংহ মিলিয়ে ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। সমীরবাবু বলেন, “লোবায় গুলি চলেছে। কে চালিয়েছে, সেটা জানতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি আমরা প্রথম থেকে করে আসছি। সেখানে হাইকোর্টে পুলিশ সুপারের পাঠানো রিপোর্ট যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে না। আমাদের দাবি পুলিশ সুপারকে কাছে জানিয়েছি।” সমীরবাবু জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে এ ব্যাপারে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছিল। উনি রাজি হয়েছেন। তবে দিন এখনও ঠিক হয়নি। শীঘ্রই কৃষিজমি রক্ষা কমিটি ও আহতদের পক্ষ থেকে পৃথক ভাবে দু’টি অভিযোগ হাইকোর্টে করা হবে বলেও তিনি জানান। |