টিএমসিপির মধ্যে অন্তর্কলহ মেটাতে ছাত্রনেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তৃণমূল নেতারা। কলেজ সংসদে কাকে কোন পদ দেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্তও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষের সামনে বোর্ড গঠনের সময়ে অন্যান্য ব্লকের প্রতিনিধিরা জড়ো হওয়ায় বদলে গেল সেই তালিকা। তার জেরে এ দিন বিকেলে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপির একাংশ।
সম্প্রতি কালনা কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ৩২টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে টিএমসিপি। মনোনয়ন তোলার দিন টিএমসিপির ‘আক্রমণে’ এসএফআই প্রার্থী দিতে পারেনি বলেও অভিযোগ ছিল। নির্বাচনে যেহেতু টিএমসিপির বিভিন্ন গোষ্ঠী মনোনয়ন তুলেছিল, তাই পদ ভাগাভাগি নিয়ে তাদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন তৃণমূল নেতারা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হবেন ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ দেবনাথ। অন্যান্য পদের দায়িত্ব কারা কারা পাবেন, তা অন্য একটি বৈঠকে ঠিক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের কালনা ১ ব্লকের সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহ রায়ের বাড়িতে ছাত্রনেতাদের নিয়ে একটি আলোচনা হয়। তাতে বিভিন্ন পদাধিকারীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হয়। তালিকায় সই করেন উমাবাবু নিজে ও কয়েক জন তৃণমূল নেতা।
কিন্তু শুক্রবার অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে সংসদ গঠনের দিন অবশ্য ওই তালিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। টিএমসিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক তৈরি না হলেও সমস্যা দেখা যায় অন্যান্য প্রস্তাবিত নাম নিয়ে। ফের নতুন করে তৈরি হয় তালিকা। টিএমসিপির এক নেতা জানান, “ওই সভায় একত্রিত হয়েছিলেন পূর্বস্থলী ১, পূর্বস্থলী ২ ও কালনা শহরের প্রতিনিধিরা। তাদের মোট সংখ্যা কালনা ১ ও কালনা ২ ব্লকের তুলনায় বেশি হওয়ায় বিভিন্ন পদে তারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের বসাতে পেরেছেন। ফলে আগের রাতের তালিকা পরিবর্তিত হয়েছে।” তিনি জানান, কালনা ১ ব্লকের প্রতিনিধিকে সাংস্কৃতিক দায়িত্ব, কালনা ২ ব্লকের প্রতিনিধিকে পত্রিকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সভায়। ঘটনার পর উমাশঙ্করবাবুর ক্ষোভ, “আমার উপস্থিতিতে যে তালিকা তৈরি হয়েছিল, তা মানা হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” কালনা ২ ব্লকের বাসিন্দা তথা টিএমসিপির রাজ্য সম্পাদক পলাশ মণ্ডলেরও বক্তব্য, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” |