প্রতিবেদনে ঐক্য গড়ায় ডাক ফব-র
রাজ্যবাসীর মন থেকে এখনও বামপন্থীদের সম্পর্কে থাকা জ্বালা যন্ত্রণা মেটেনি। তাই রাজ্যে পালাবদলের পরেও সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতাও অর্জন করতে পারেনি বামফ্রন্ট। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বামপন্থীদের ফিরে আসা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃণমূল বা কংগ্রেসের নয়, বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা নেতৃত্বের দাবি এমনই। কোচবিহারে দলের জেলা সম্মেলনের প্রতিবেদনে এই সংশয়ের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে। যদিও একই সঙ্গে আগামী পঞ্চায়েতে নির্বাচনে বাম ঐক্য গড়ে তোলার কথাও সম্মেলনে বলা হয়েছে। জেলা সম্মেলনের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “অনেকে বলছেন, তৃণমূলের সরকার আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। কিন্তু তাঁরা পরিষ্কার করে বলছেন না বামফ্রন্ট ২০১৬ সালের নির্বাচনে আবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে। কারণ তাদের মনের জ্বালা,যন্ত্রণা মিটিয়ে বামপন্থীরা এখনো মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তাঁরা আজকের তৃণমূলের সঙ্গে শরিকদের অতীত কাজকর্মের মিল খুঁজে পাচ্ছেন।” তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বেণুবাদল চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিবেদনে ঠিক কী লেখা হয়েছে তা দেখে জেলা নেতৃত্ব যা বলার বলবেন।”
বামপন্থীদের রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে জমি ছাড়তে প্রস্তুত নয় ফরওয়ার্ড ব্লক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শরিকদের মধ্যে জোট করতে হবে, রাজ্য বামফ্রন্টের এই সিদ্ধান্তের কথা মাথায় রেখে কর্মীদের সিপিএমের ওপর ক্ষোভ ‘নিয়ন্ত্রণে’ রাখার পরামর্শ ফরওয়ার্ড ব্লকের। ধৈর্য নিয়ে ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে দল ও বামফ্রন্টকে শক্তিশালী করার’ কথা বলা হয়েছে। বড় শরিক সিপিএমের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের ক্ষোভ থাকার কথা স্বীকার করে নিয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “আপনাদের মনে অনেক জ্বালা, যন্ত্রণা ও ক্ষোভ রয়েছে। মনে রাখবেন বামফ্রন্ট কোন একটি দলের সম্পত্তি নয়।” টানা তৃতীয় বার দলের জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর উদয়ন গুহ বলেন, “পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখেই কোনও কোনও দলের প্রতি ক্ষোভ সরিয়ে রেখে যাতে বাম ঐক্যের ক্ষতি না করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।” ফরওয়ার্ড ব্লকের দু’দিনের কোচবিহার জেলা সম্মেলন রবিবার মেখলিগঞ্জে শেষ হয়েছে। সম্মেলন থেকেই বাম ঐক্য গড়ে তোলার জন্য কর্মীদের আর্জি দলের। প্রতিবেদনে রাজ্যে বামেদের পরাজয়ের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাঁর নাম উল্লেখ্য না করে লেখা বয়েছে, ‘২৩৫ আর ৩৫ এর অহমিকা ভেঙে মানুষ রায় দিলেন পরিবর্তনের পক্ষে। ২৩৫ এর বামপন্থীদের শক্তি এসে দাঁড়ালো ৬২ তে।’ বর্তমান রাজ্য সরকার পুলিশ দিয়ে বামপন্থীদের ওপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে কর্মীদের জানানো হয়েছে, ‘রাজ্যে পালাবদলের পর বন্ধু পুলিশের চরিত্রও একেবারে বদলে গিয়েছে।’ সম্মেলনে ৩৫ জনের জেলা কমিটি গড়া হয়েছে। জেলা সম্পাদকমন্ডলীতে দিনহাটার হীরালাল দাসই একমাত্র নতুন মুখ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.