|
|
|
|
নেই রেফারেল রেজিস্টার |
হাসপাতাল ঘুরে দেখে ক্ষোভ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
কোচবিহার জেলার হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ‘রেফারাল রেকর্ড রেজিস্টার’ না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্বাস্থ্যকর্তাদের সতর্ক করলেন। রবিবার দেওয়ানহাট, বামনহাট ও দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। দেওয়ানহাট ও দিনহাটা হাসপাতালে সরকারি নির্দেশ মেনে রেফারেল রেজিস্টার রাখা হচ্ছে কিনা তা জানতে চান তিনি। দেওয়ানহাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি এক রেফারেল রেজিস্টার মন্ত্রীর সামনে রাখেন। খাতা খুলে মন্ত্রী অবাক। সেটা ছিল ইমার্জেন্সি রোগীর রেকর্ড নথিভূক্ত করার খাতা। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মন্ত্রী। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে রেফারেল রেজিস্টার দেওয়া হলেও সেখানে রোগীকে কেন রেফার করা হয় তার উল্লেখ ছিল না। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে হাসপাতালগুলিতে রেফারেল রেজিস্টার তৈরির উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই বিষয়ে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও দেওয়ানহাট ও দিনহাটা হাসপাতালে ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। এটা চলতে পারে না।” দেওয়ানহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গড়ে প্রতি মাসে ৪০০ রোগী ভর্তি হয়। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ওই সংখ্যা গড়ে প্রতি মাসে ৩ হাজার। অন্তত ১০ শতাংশ রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। এটা রেফারেল রেজিস্টারে নথিভুক্তি নিয়ম। চন্দ্রিমা বলেন, “দেওয়ানহাট হাসপাতালে রেফার নিয়ে একটি রোগীর তথ্যে শুধুমাত্র বিষক্রিয়ার কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের কোন পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য রেফার করতে হল তার উল্লেখ নেই। এটা তো পদ্ধতি নয়।” জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে সর্বত্র রেফারাল রেজিস্টার চালু করা হয়েছে। বোঝার খামতির জন্য কিছু সমস্যা হচ্ছে। মন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সেটা যেন না হয় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এদিন দেওয়ানহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিষেবা নিয়ে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়রা জানান, স্বাস্থ্য কর্মীদের ডেকে পাওয়া যায় না। রোগীকে নিয়ে যেতে তাঁদেরই স্ট্রেচার ধরতে হয়। ঘটনার কথা শুনে মন্ত্রী স্বাস্থ্য কর্তাদের সতর্ক করেন। এর পরে তিনি বামনহাট ব্লক হাসপাতালকে গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত করার কথা জানান। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ১৬ কোটি টাকা খরচে ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ তৈরি করা হবে। পরে বামনহাট বাজার চত্বরে একটি দলীয় সভাতেও যোগ দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। ওই সভায় নাম না করে ফরওয়ার্ড ব্লককে ‘সার্কাসের দল’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পার্থনাথ সরকার, অসীম নন্দী প্রমুখ ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|