|
|
|
|
মেডিক্যালের রোগী নিখোঁজ, নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক রোগী নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সুব্রত ঘোষ (৪০) নামে ওই রোগী বুধবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের খয়েরুল্লাচকে। শনিবার বিকেল থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না। কোতয়ালি থানা এবং হাসপাতালে বিষয়টি জানিয়েছেন সুব্রতবাবুর পরিজনেরা। হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন না। ওয়ার্ডের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকে। তারপরেও এমন ঘটনা ঘটে কী করে? নিখোঁজের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
মেদিনীপুর মেডিক্যালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন সুব্রতবাবু। দেখভালের জন্য তাঁর স্ত্রী আশাদেবীও ওয়ার্ডে থাকতেন। শনিবার বিকেলে তিনি ওষুধ কিনতে বাইরে বেরোন। ফিরে এসে দেখেন শয্যায় তাঁর স্বামী নেই। বহু খুঁজেও সন্ধান মেলেনি। বিষয়টি তখনই ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স এবং ওয়ার্ড মাস্টারকে জানান আশাদেবী। রাতে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রতিটি ওয়ার্ডেই নিরাপত্তারক্ষী থাকে। ওয়ার্ডে কে ঢুকছেন, কে বেরোচ্ছেন, নজরদারি চলে। সেই নজরদারি ফাঁক গলে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই রোগীর পরিবারের লোকজন। রবিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়। সুব্রতবাবুর ভাই দেবদুলাল ঘোষ বলেন, “এমনটা হতে পারে বলে আমরা ভাবতেই পারিনি। ঠিক ভাবে নজরদারি চালানো হলে এ ঘটনা ঘটত না।” একই বক্তব্য ওই রোগীর আত্মীয় অলোক ঘোষের। তাঁর কথায়, “এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন না। এমন ঘটনা ঘটলে তো রোগীর পরিবারের লোকেদের চিন্তায় থাকতে হবে।” |
|
|
|
|
|