|
|
|
|
উদ্বোধনের পরেও চালু হল না অ্যাম্বুল্যান্স |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুঞ্চা |
ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা তার অধীনে থাকা তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটিও অ্যাম্বুল্যান্স ছিল না। এক মাস আগে বিধায়ক তহবিলের টাকায় দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলি রোগীদের কাজে লাগছে না। কারণ সেগুলি ব্লক অফিসেই পড়ে রয়েছে।
সমস্যাটি পুঞ্চার। পুঞ্চা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেশ কিস্কুর ক্ষোভ, “রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য একটিও অ্যাম্বুল্যান্স নেই। যদি বা দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি চালানোর জন্য চাবি মেলেনি।” রমেশবাবুর কথায়, “মাস খানেক আগে স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য স্থানীয় বিডিও এবং বিধায়কের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতীক স্বরূপ গাড়ির দু’টি থার্মোকলের চাবি আমাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গাড়ির আসল চাবি আমাকে দেওয়া হয়নি।” পুঞ্চা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রে দু’টি মাতৃযান গাড়ি রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ওই গাড়িতে প্রসূতি মা ও নবজাতকদের বিনা খরচে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণ রোগীরা ওই গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। |
ব্লক অফিসেই পড়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। —নিজস্ব চিত্র। |
রমেশবাবু বলেন, “আমি এই ব্লকে যোগ দেওয়ার পর দেখি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও অধীনে থাকা বাগদা, রাজনোয়াগড় ও কুড়ুকতোপা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য একটিও অ্যাম্বুল্যান্স নেই। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য দফতরে দরবার করে এত দিনেও গাড়ি মেলেনি। রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা গাড়ি ভাড়া করে রোগীকে নিয়ে যান। পুরুলিয়ার উপমুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক আজিজুর রহমান বলেন, “পুঞ্চা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যান্স নেই বলে জানা ছিল না। দু’ দশক আগে জার্মান সংস্থার মাধ্যমে সব ব্লকেই অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছিল। ওই গাড়ি কোথায় রয়েছে খোঁজ নিতে হবে।” মানবাজারের বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, “ওই অ্যাম্বুল্যান্স দু’টি ব্যবহার না হয়ে ব্লক অফিস চত্বরে পড়ে রয়েছে বলে জানতাম না। কী কারণে গাড়িগুলি চালানো হয়নি খোঁজ নিয়ে শীঘ্রই যাতে ব্যবহার হয় তার ব্যবস্থা করছি।”
পুঞ্চা ব্লক অফিসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ি রাস্তায় নামার আগে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গাড়ি দু’টির রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। শুধু তাই নয়, সরকারি গাড়ি হওয়ার সুবাদে রেজিস্ট্রেশনের খরচ মুকুব করা সম্ভব কি না জানতে গিয়ে এই বিলম্ব হয়েছে। পুঞ্চার বিডিও সুপ্রতীক সিংহ বলেন, “গাড়ি দু’টি যত্নেই রাখা আছে। রেজিস্ট্রেশন করানোর প্রক্রিয়া চলছে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলেই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|