|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাতেও সাহায্য মেলেনি, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার তিন দিন বাদেও প্রশাসনের তরফে মূক ও বধির ‘ধর্ষিতা’ নাবালিকার পরিবারকে সাহায্য দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের নির্দেশে সরকারি প্রতিনিধিরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু, কোনও সাহায্য মেলেনি বলে কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ। তার উপরে ওই কিশোরীর দাদু শনিবার বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে, পুরোপুরি দিশেহারা হয়ে পড়েছে কিশোরী ও তার মা। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “ওই কিশোরী ও তার শিশুপুত্র ও বৃদ্ধা মাকে হোমে রাখা হবে। শীঘ্রই সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।” কত দিনের মধ্যে তা হবে সেই ব্যাপারে স্পষ্ট উত্তর প্রশাসন দিতে পারেনি।
কিশোরীর দাদুর মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে জেলাশাসকের কাছেও। তিনি বলেছেন, “আমাদের লোকজন কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছেন। সব শুনে ব্যবস্থা করছেন। কিশোরীর দাদুর মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম শেষ হলে ওদের হোমে রাখার ব্যবস্থা করব।”
২০১১ সালে ওই মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ১৩ বছর বয়সী কিশোরী কিছু দিন পরে গর্ভবতী হয়। ওই ঘটনায় কিশোরীর বাবা পাগল হয়ে নিখোঁজ হন। কিশোরীটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। তার পক্ষে নবজাতককে দেখভাল করা সম্ভব নয় দেখে মা দিনমজুরির কাজ ছেড়ে মেয়ের সন্তানের দেখভাল করতে থাকেন। কিশোরীর দাদু দিনমজুরি করে নাতনি ও শিশুটির জন্য খাবার সংগ্রহ করতেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্তের হদিস পুলিশ করতে পারেনি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চিঠি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে ওই পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিখিল পোদ্দার বলেন, “বেশ কয়েকবার প্রশাসনের কাছে দরিদ্র পরিবারকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছি। প্রশাসন তৎপর হলে ওই বৃদ্ধের এ ভাবে মৃত্যু হয়তো হত না। এখন মা ও তার সন্তানকে হোমে রাখার জন্য বলা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|