একই অপরাধে সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করা হলেও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ছাড় দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর মাজদিয়ার শিবমোহিনী কন্যা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জিতে তৃণমূল আদিত্যপুর গ্রামে বিজয় মিছিল বার করে। ওই মিছিল সিপিএম কর্মী জগন্নাথ বিশ্বাসের বাড়ির কাছে পৌঁছতেই দু’পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে জগন্নাথবাবু ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তারক মণ্ডল জখম হন। পুলিশ জগন্নাথবাবুকে গ্রেফতার করেছে। তিনি পুলিশি নজরদারিতে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে তারকবাবুকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম।
দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এসএম সাদি বলেন, “তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই পুলিশ আমাদের কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই গ্রেফতার করেছে। অন্য দিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ধরছে না পুলিশ। এ ছাড়াও ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশ জগন্নাথবাবুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ধারায় মামলা করেছে। কিন্তু তারকবাবুর বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করছে। দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।” তিনি জানান, তদন্ত চলছে। তাতে দোষী প্রমাণিত হলেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, জগন্নাথবাবু ঘটনায় সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলেই তাঁকে ধরা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, “ওই ঘটনায় কয়েকজন এসএফআই কর্মীর নামে নালিশ থাকলেও তো তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি।”
আর রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “খুন করার উদ্দেশেই তারক মণ্ডলের উপর হামলা করা হয়েছিল। তাঁর আঘাত গুরুতর। অন্য দিকে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে মার খেতে দেখে জনরোষের শিকার হয়ে জগন্নাথবাবু স্বল্প আঘাত পেয়েছেন। পুলিশ এটা বুঝতে পেরেই আমাদের কর্মীকে গ্রেফতার করেনি।” |