|
|
|
|
বিদ্যাসাগর মেলাতেও ‘আমরা-ওরা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বিদ্যাসাগর মেলাকে ঘিরে ‘আমরা-ওরার’ অভিযোগ উঠল। গত শুক্রবার থেকে বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ গ্রামে শুরু হয়েছে এই মেলা। অভিযোগ, মেলায় শাসক দলের মহকুমার অঞ্চল সভাপতি থেকে ব্লক নেতৃত্বসকলে উপস্থিত থাকলেও আমন্ত্রণ পাননি বিরোধী দলের নেতৃত্বরা। স্বাভাবিক ভাবেই মেলাকে কেন্দ্র করে দলতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। মেলার সভাপতি ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
১৯৯২ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রামে বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতির উদ্যোগে ‘বিদ্যাসাগর মেলা’ শুরু হয়। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর এই মেলা শুরু হত। পাশাপাশি গ্রাম তো বটেই, এমনকী জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ, স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও এই মেলায় যোগ দেন। রাজ্যে পালাবদলের পর শাসক দল তৃণমূল মেলাটিকে নতুন ভাবে শুরু করে। মেলার শুরুর দিনেরও বদল ঘটে। মেলার শুরু থেকে মহকুমার প্রতিটি জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানোর রেওয়াজ ছিল। পালাবদলের পর এ ক্ষেত্রেও ঘটেছে বদল। অভিযোগ, ঘাটালের সাংসদ সিপিআইএর গুরুদাস দাশগুপ্ত, চন্দ্রকোনার সিপিএম বিধায়ক ছায়া দোলই, চন্দ্রকোনা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরেকৃষ্ণ নায়েক, ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান থেকে মহকুমার সিপিএম পরিচালিত একাধিক প্রধান,পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর-কেউই এ বছর বিদ্যাসাগর মেলায় আমন্ত্রণ পাননি। চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিধায়ক ছায়া দোলই বলেন, “আমি জানিই না কবে থেকে মেলা শুরু হয়েছে। আমাকে কেউ কিছু জানাননি।” গুরুদাসবাবুও বলেন, “আমি কোনও আমন্ত্রণ পাইনি”।
এই বছর মেলার উদ্বোধন করেন যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন শিশির আধিকারী, দাসপুরের তৃণমূল বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া-সহ শাসক দলের নেতৃত্বরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা, জেলা কমিটির সদস্য সুনীল অধিকারী বলেন, “মেলাটিকে ঘিরে দলতন্ত্র চলছে। সাধারণ মানুষই এর জবাব দেবেন।” যদিও তৃণমূল নেতা তথা মেলা কমিটির পক্ষে দিলীপ মাঝি বলেন, “মেলার প্রস্তুতির জন্য আমরা সব দলের প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। কিন্তু তখন কেউ এগিয়ে আসেননি। তবে এটা ঠিক যে সময়ে সবাইকে মেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ঘটনাটি খুব দুঃখজনক।” তিনি আরও বলেন, “সবাইকে জানানোর জন্য আমরা দলের প্রতিটি ব্লক নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। কার্ডও পাঠিয়েছিলাম। তা সময়ে কেন দেওয়া হয়নি তা খোঁজ নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|