|
|
|
|
বুদ্ধের সভার ভিড়ে উজ্জীবিত বামেরা, পাল্টা সভা তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টার্চাযের সভায় জনজোয়ারে ‘অক্সিজেন’ পেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বামেরা। সভার ‘সাফল্য’ জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও সভার এই ভিড়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সহ -সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “চণ্ডীপুরের মাঠের অর্ধেক জায়গায় সভা করেছিল সিপিএম। ছোট জায়গা হওয়ায় ভিড় বলে মনে হচ্ছিল। নন্দীগ্রামের গণহত্যার অন্যতম কারিগর বুদ্ধদেববাবু ফের জেলায় এসে প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলে গিয়েছেন। এই জেলার মানুষ তার জবাব দেবেন।’’ এ দিকে, শনিবার যে মাঠে বুদ্ধদেববাবুর সভা হয়েছে, আজ সোমবার সেই একই মাঠে সভা করছে জেলা তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ও নেতাই কাণ্ডে নিহতদের স্মরণে এই সভা ডাকা হলেও মাঠ ভরানোটা যে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ প্রাকারন্তরে তা মানছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বও। মামুদ হোসেনের দাবি, “আমাদের সভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে।”
নন্দীগ্রামের আন্দোলনের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সিপিএম কার্যত মুছে গিয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোট, নন্দীগ্রামের উপ -নির্বাচন, লোকসভা, বিধানসভাকোনও ভোটেই সিপিএম মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার দেড় বছরের মধ্যে মমতা -সরকারের উপরে নন্দীগ্রাম -সংলগ্ন এলাকার মানুষের বিশ্বাসে যে চিড় ধরেছে, চণ্ডীপুরের সভাই তার প্রমাণ। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা কৃষকসভার ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘সভায় যে ভাবে মানুষের ঢল নেমেছে, তা আমাদের আশাতীত। আমাদের দলের পক্ষে তো বটেই, এই সমাবেশ জেলার বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সকলকেই নতুন করে মনোবল জোগাবে।’’ নিরঞ্জনবাবুর দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাস উপেক্ষা করে সভায় শুধু নন্দীগ্রাম থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এসেছিলেন। পাশের খেজুরি থেকেও নিজেদের মতো করে বহু মানুষ এসেছিলেন। রবিবার তমলুকে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এসে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার বলেন, “সম্প্রতি বিভিন্ন স্কুলভোটে আমাদের জয় এই আভাস -ই দিচ্ছিল। সভার ভিড় থেকে প্রমাণিত হল, জোর -জবরদস্তি করে, ভয় দেখিয়ে বেশি দিন মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না।” একই মত সিপিআইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন ঘড়া, আরএসপি -র জেলা সম্পাদক অমৃত মাইতির। |
|
|
|
|
|