|
|
|
|
কোলাঘাটে আগুনে পুড়ে মৃত বৃ্দ্ধা, আহত পাঁচ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রান্নার গ্যাস ঠিকঠাক কাজ করছিল না। সিলিন্ডারও শেষ হয়ে গিয়েছিল। নতুন সিলিন্ডার লাগানোর পরেই ঘটল বিপর্যয়। গ্যাস জ্বালাতে গিয়ে আগুন ছড়িয়ে মৃত্যু হল এক বৃ্দ্ধার। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। রবিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লক অফিসের কাছে পাইকপাড়ি এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইরা দাস (৬৬)। অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা ইরাদেবীর স্বামী অনিল দাস, ছেলে অমিত দাস, বৌমা রূপা দাস, বাড়ির পরিচারিকা তপতী বাগ জখম হয়েছেন। গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসা কর্মী শেখ সোহরাব আলিও গুরুতর জখম। প্রত্যেকেই কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে অনিলবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। |
|
আগুন নেভাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনিলবাবুর বাড়ির রান্নার গ্যাসটি কত ক’দিন ধরেই ঠিক মতো কাজ করছিল না। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ সেটি সারানোর জন্য ও নতুন সিলিন্ডার দিতে এসেছিলেন গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী সোহরাব আলি। সেই সময় রান্নাঘরে ছিলেন অনিলবাবু, ইরাদেবী, রূপাদেবী ও তপতীদেবী। সোহরাব সিলিন্ডার বদলানোর পরে উনুনটি জ্বালতে গেলে আচমকা রান্নাঘরে আগুন ধরে যায়। বিকট শব্দে রান্না ঘরের সামনের দরজা, জানালা ভেঙে যায়। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন সোহরাব -সহ ওই ঘরে থাকা চার জন। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন অমিত। প্রতিবেশী তপন চক্রবর্তী বলেন, “বিকট শব্দ শুনে অনিলবাবুর বাড়িতে ছুটে যাই। দেখি রান্নাঘরের পুরোটা ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। মেঝেয় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ৬ জন। দ্রুত উদ্ধার করে কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করি।” খবর পেয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি দমকল এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আহত ৬ জনকেই পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল ও সেখান থেকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে সেখানেই ইরাদেবীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পরে সোহরাব বলেন, “নতুন সিলিন্ডার লাগানোর পরে তা পরীক্ষা করতে গ্যাস জ্বালানো হয়েছিল। সেই সময়ই আগুন ধরে যায়।” |
|
|
|
|
|