সর্বভারতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে সেমিফাইনালে গেল বর্ধমান। রবিবার শহরের মোহনবাগান মাঠে তারা ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় বারাসতের ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটিকে। ফলে পঞ্চম বারের জন্য এই প্রতিযোগিতা জেতার দিকে আরও এক ধাপ এগোল বর্ধমান। এ দিনই অমৃতসরের গুরু নানকদেব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে কলকাতা।
এ দিনও বড় ব্যবধানে জেতার আশা জাগিয়ে শুরু করেছিল বর্ধমান দল। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে অভিষেক দেবনাথের পাস থেকে মাঝমাঠের খেলোয়াড় দীপায়ন সামন্তের বারে লেগে গোলে ঢোকা শটে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত হয়। তার আগে প্রথমার্ধেই তিন-তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। একা গোলকিপারকে সামনে পেয়েও তাঁর হাতে বল মেরে সুবর্ণ সুযোগ খোয়ান অনিল কিস্কু। গোলের কাছে পৌঁছে ব্যর্থ হন অধিনায়ক বিবেকানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কড়া মার্কিংয়ের জন্য এ দিন অনিল বিশেষ নড়াচড়া করতে পারেননি। |
রবিবার বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে ছবিটি তুলেছেন উদিত সিংহ।
|
বধর্মানের টিডি রথীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “গোটা ম্যাচে প্রধান্য রেখে খেললেও গোল করতে না পেরে দল চাপে পড়ে যায়। বারাসত ভাল খেলেছে। যদিও আমাদের গোলকিপার চিরদীপ চট্টোপাধ্যায় সারা ম্যাচে মাত্র একটাই কঠিন বল ধরেছে।” আজ, সোমবার অমৃতসরের দলটির সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলবে বর্ধমান। রথীনবাবুর মতে, “ওরা লম্বা পাসে খেলে। ওদের ফুটবলারেরা টানা খেলে যেতে পারে। এই খেলা খেলেই ওরা কলকাতাকে ছিটকে দিয়েছে। আমরা মাটিতে বল রেখে খেলব। গোড়াতে গোল না পেলে আমাদেরও বিপদে পড়তে হবে।” প্রতিযোগিতার আর একটি সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আন্নামালাই ও কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়। এ দিন কলকাতাকে প্রাধান্য রেখেই হারিয়েছে অমৃতসর। ম্যাচের শুরুতেই দলের লেফট হাফ তরণজিৎ সিংহ আহত হওয়ায় মাঠে নামেন রণজিৎ সিংহ। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে তিনিই দুরন্ত শটে গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে কলকাতার চোশেরিং লেপচা জটলার মধ্যে থেকে গোল করে সমতা ফেরান। অতিরিক্ত সময়ে কলকাতার ফুটবলারেরা ক্লান্ত হয়ে পড়লেও সমান তালে দৌড়ন অমৃতসর দলের ফুটবলারেরা। টাইব্রেকারে কলকাতা দলের সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায় ও গণেশ দে বাইরে মারেন। অমৃতসর দলের হরপ্রীত সিংহ বাইরে মারলেও বাকিরা গোল করায় তারা জিতে যায়। কলকাতার কোচ গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওদের মতো টানা ছুটতে পারিনি আমরা।” |