|
|
|
|
পড়শির ঘরে নিখোঁজ শিশুর দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ শিশুর গলিত দেহ মিলল প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে। কাল এই ঘটনায় পশ্চিম ত্রিপুরার যোগেন্দ্রনগরে বনকুমারী অঞ্চলে জনরোষ ফেটে পড়ে। যে বাড়ি থেকে শিবম দাস নামে পাঁচ বছরের ছেলেটির দেহ মেলে, সেই বাড়ির উপরে চড়াও হয় জনতা। এ ঘটনায় অভিযোগের তির ওই প্রতিবেশী প্রীতম দে-র উপর। প্রীতমকে না পেয়ে মারমুখী জনতা চড়াও হয় তাঁর মা লক্ষ্মীরানি দে-র উপর। ওই বাড়িতে আগুন লাগানোরও চেষ্টা চলে। পুলিশ সেই আক্রমণ ঠেকাতে গেলে উন্মত্ত জনতা পুলিশকে আক্রমণ করে। জনতার হামলায় পূর্ব থানার ওসি পার্থসারথি পাল, এসআই বলরাম সেন, এএসআই অমল দেব, বাবুলাল দত্ত-সহ আট জন পুলিশকর্মী জখম হন। শিবমের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ সক্রিয় হলে জীবন্ত অবস্থাতেই উদ্ধার করা যেত শিশুটিকে।
গত ২৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়েছিল পাঁচ বছরের শিশু শিবম দাস। এ ঘটনায় এক প্রতিবেশীর হাত আছে সন্দেহ করে শিশুটির পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে এফআইআর-ও দাখিল করা হয়। পুলিশ জানায়, ‘এফআইআর-এ প্রীতম দে ছাড়াও তার বাবা-মায়ের নাম উল্লেখ করা রয়েছে।’ উত্তেজিত জনতা প্রীতমদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার পর থেকেই তার বাবা পিন্টু দে বেপাত্তা। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এ দিকে, জনতার মারে জখম হয়ে লক্ষ্মীরানি দে আগরতলায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই এলাকা এখনও থমথমে। শান্তি বজায় রাখতে এলাকায় টিএসআর এবং সিআরপিএফ টহল দিচ্ছে। রাজ্য পুলিশের আইজি নেপাল চন্দ্র দাস বলেন, ‘‘নিঁখোজ শিশুটির পরিবারের তরফে ২৩ ডিসেম্বর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর এত দিন পুলিশ কী করছিল, বুঝতে পারছি না। এটা রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের এক চরম ব্যর্থতা।” |
|
|
|
|
|