|
|
|
|
নয়ডায় ধর্ষণ করে খুন |
তিন সন্দেহভাজন আটক, পাঁচ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়ডা |
বছর একুশের ধর্ষিতা তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার এক দিন পরে রবিবার তিন সন্দেহভাজনকে আটক করল নয়ডা পুলিশ। একই সঙ্গে শুক্রবার রাতে এই ঘটনার এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগে এক অফিসার-সহ পাঁচ পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতেন ওই তরুণী। শুক্রবার রাতে অফিস থেকে কাজ সেরে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পর দিন সকালে তাঁর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয় নয়ডার পুস্তা এলাকায়। রবিবার তরুণীর শেষকৃত্য হয়েছে।
কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে তরুণীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, শুক্রবার রাত দশটা পর্যন্ত এই তরুণী বাড়ি না ফেরায় পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। নিখোঁজ ডায়েরি করতে চাইলেও নিতে চায়নি পুলিশ। এমনকী রবিবারও তরুণীর মৃতদেহ দিতে বেশ দেরি করেছে পুলিশ।
তরুণীর মা-বাবার সন্দেহ। স্থানীয় যুবকরাই এই ঘটনায় জড়িত। কারণ বছর চারেক আগে এক যুবক তরুণীকে উত্যক্ত করত। এক বার তরুণীর বাড়িতে জোর করে ঢোকার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু প্রতিবেশীরা হস্তক্ষেপ করায় তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়। সে সময়ও কোনও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মা বলেন,“ পুলিশের কাজ হল মানুষ বিশেষত মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া। তাই আমার মতে ডিউটি অফিসারকে এই মুহূর্তে সাসপেন্ড করা উচিত। মানবিকতার খাতিরে তাঁর সেই রাতে অভিযোগ জমা নিয়ে মেয়েটিকে খোঁজা উচিত ছিল। তা হলেই এই ঘটনা ঘটত না।”
যদিও নয়ডা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দোষীকে খোঁজা হচ্ছে। এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিকে কোনও ভাবেই ছাড়া যাবে না। তরুণীর মহিলা সহকর্মীদের সাহায্যে ও কর্মস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীকে খোঁজার চেষ্টা করছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|