কুয়াশায় রবিবার সকাল থেকেই অন্ধকার ছিল রাঁচির আকাশ। সারা দিনে একটিও বিমান ওঠানামা করেনি সেখান থেকে। বেশির ভাগ উড়ান বাতিল করতে হয়। কয়েকটি বিমান রাঁচির মাথায় পৌঁছেও নামতে না-পেরে উড়ে গিয়েছে অন্যত্র। এমনই একটি বিমানের যাত্রীদের নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় বড়সড় নাটক হয়ে গেল কলকাতা বিমানবন্দরে।
১৬৬ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি থেকে রাঁচি যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। তাতে ছিলেন বিজেপি-র সাংসদ যশবন্ত সিনহা। রাঁচিতে নামতে না-পেরে বিমানটি রবিবার বিকেলে কলকাতায় চলে আসে। বিমানের ৩৮ জন যাত্রী দিল্লি ফিরে যেতে চান। তাঁদের নিয়ে সন্ধ্যায় দিল্লি ফিরে যায় বিমানটি। যশবন্ত-সহ বাকি ১২৮ জন যাত্রী নেমে পড়েন কলকাতায়। তাঁদের বড় বাসে রাঁচি পাঠানোর ব্যবস্থা করে বিমান সংস্থা।
তখনই শুরু হয় সমস্যা। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, যশবন্ত পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া বাসে রাঁচি যাবেন না বলে বেঁকে বসেন। কিন্তু কলকাতা থেকে এই দীর্ঘ পথ পুলিশের পাইলট কার দিয়ে রাঁচি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। শেষে বিধাননগর কমিশনারেটের চার জন কনস্টেবলকে নিযুক্ত করা হয় দু’টি বাসে। ঠিক হয়, তাঁরা বাসে আসানসোলে ঝাড়খণ্ড সীমানা পর্যন্ত যাবেন। সেখান থেকে বাসে চাপবেন ঝাড়খণ্ডের পুলিশ। তাই রাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাঁচি রওনা হয়
দু’টি বাস।
বিমানবন্দরের খবর, কুয়াশায় রাঁচি বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা ১০০০ মিটারে নেমে আসে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দেড় কিলোমিটার উপরের বায়ুস্তরে জলীয় বাষ্প হঠাৎই ভীষণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে। তাতে সূর্যের আলো বাধা পাচ্ছে। দৃশ্যমানতা কমেছে সেই কারণেই। রাঁচি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি বিমান ওঠানামা করে। কলকাতা-রাঁচি রুটের চারটি উড়ানই এ দিন বাতিল করতে হয়। আবহাওয়ার উন্নতি না-হলে আজ, সোমবারেও বিমান চালু হবে কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি রাঁচির বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ। খারাপ আবহাওয়ার জন্য রাঁচির বিভিন্ন স্কুলে তিন দিনের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। |