হিমুল নিয়ে আন্দোলনে এবার কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন যৌথ মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করল। রবিবার দুপুরে পর পর তিনিটি সংগঠন শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন। নিজেদের দাবি আদায়ে ‘হিমুল বাঁচাও কমিটি’ তৈরি করেছে তারা। আগামী ৮ জানুয়ারি কংগ্রেসের মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের নেতৃত্বে কলকলাতায় যাবেন সিটু ও আইএনটিইউসির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে অবশ্য আইএনটিটিইউসি’র সংগঠন হিমুল ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কেউ থাকবেন না।
হিমুল ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সহ সভাপতি সজল চক্রবর্তী বলেন, “হিমুলের বেহাল অবস্থা। নতুন সরকার আসার পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে হিমুলের অবস্থা জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তার পরেও দাবি আদায়ে এখন যৌথ আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনও পথ দেখছি না।” আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন সরকার আসার পর থেকে হিমুলকে পুণরুজ্জীবীত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। এই অবস্থায় আন্দোলনে যাওয়ার কোনও ব্যপার নেই। তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। আমাদের কোনও সংগঠন যৌথ আন্দোলনে যাবে না। সেক্ষেত্রে দলীয় অনুশাসন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সিটু’র ডেয়ারি ফার্ম মজদুর ইউনিয়নের সহ সভাপতি সুধাংশু কুমার তরুয়া জানান, শ্রমিকদের দাবি আদায়ে যৌথ আন্দোলনে যেতে কোনও অসুবিধে নেই। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বিধায়ক এগিয়ে আসায় আমরা খুশি। যৌথ আন্দোলন করেই নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে চাইছি। বর্তমান সরকার কর্মীদের দিকে নজর দিচ্ছেন না। শঙ্করবাবুর প্রতিনিধি দলেও আমরা থাকব।” আইএনটিউসির হিমুল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় জানান, সম্প্রতি বিধায়ক শঙ্কর মালাকার হিমুলে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “তাঁর সঙ্গে কলকাতায় গিয়ে মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে দেখা করব। আমাদের দাবির কথা জানাব। সবাই মিলে সেখানে থাকলে সরকার আমাদের কথা শুনবেন বলে আশা করছি।” এদিন তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হিমুলের কর্মীরা তাঁদের অধিকার থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা সরকারি পেনশন পাচ্ছেন না। কর্মীরা পঞ্চম বেতন কমিশনের বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। পিএফ, এলআইসি, ব্যাঙ্ক ঋণের সহ বিভিন্ন খাতে টাকা কেটে নেওয়া হলেও তা নির্দিষ্ট জায়গায় জমা পড়ছে না বলে অভিযোগ। সংস্থার কাছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা পাওনা পড়ে রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এ ছাড়া হিমুলের যন্ত্রপাতির অবস্থা বেহাল, দক্ষ প্রশাসক না থাকায় হিমুলের অবস্থা খারাপ হচ্ছে বলেও তাঁরা দাবি করেন। |