লগ্নিকারীদের আস্থা ফেরাতে শেষ ভরসা সংস্কারই।
নতুন লগ্নি নিয়ে শিল্পমহলের ধন্দ এখনও কাটেনি। বরং বণিকসভা সিআইআই-এর আস্থা-সূচক গত তিন মাসে শুধু কমেছেই নয়, নেমেছে ৫০-এরও নীচে। এই পরিস্থিতিতে সংস্কারের গতিই আশার আলো দেখাতে পারে বলে মনে করছে তারা।
ব্যবসা কিংবা নতুন লগ্নি নিয়ে কী ভাবছেন শিল্প-কর্তারা, তারই আঁচ মেলে সিআইআই-এর ওই আস্থা-সূচকে। আর তাতে এখনও ম্যাড়ম্যাড়ে ছবিটাই ফুটে উঠেছে। বস্তুত, গত মাস ছ’য়েকে লগ্নিকারীদের ভরসার পারদ নেমেছে। সিআইআই-এর সমীক্ষা বলছে, চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বর, এই তিন মাসে আস্থা-সূচক দাঁড়িয়েছে ৪৯.৯-এ। যা তার আগের তিন মাসের চেয়েও কম (৫১.৩)। শিল্পমহলের এই উদ্বেগ জানিয়েছেন বণিকসভার ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ সমীক্ষায় ৫১.৫% সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা লগ্নি হয় কমিয়েছেন নতুবা একই আছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে লগ্নির চাকা ঘোরাতে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন না বলে মনে করছেন তাঁরা।
|
ইস্পাতের দাম বাড়াল চার সংস্থা। চলতি মাসের জন্য এই মূল্যবৃদ্ধিতে এসার স্টিলই দাম বাড়িয়েছে সব থেকে বেশি, টনে ১,০০০-১,৪০০ টাকা পর্যন্ত (প্রায় ৩-৪%)। তার পরেই জিন্দল স্টিল, প্রায় ১,০০০ টাকা পর্যন্ত। রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম ও জেএসডব্লিউ স্টিল বাড়িয়েছে যথাক্রমে ৫০০ ও ৭৫০ টাকা করে। ইস্পাত শিল্প সূত্রের ইঙ্গিত, দাম বাড়িয়েছে সেল-ও। শিল্পমহলের দাবি, দেশে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি এবং জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনাই এর অন্যতম কারণ। তবে বিশ্ব বাজারের চড়া দর এবং আকরিক লোহা, বিদ্যুতের মতো উপাদানের দাম বাড়াও এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে বলে দাবি তাদের। |