|
|
|
|
বার্নপুরের স্কুলে কাটেনি অচলাবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
এখনও অচলাবস্থা কাটল না বার্নপুরের সুভাষপল্লি বিদ্যানিকেতনের বালক বিভাগের। সোমবারেও পড়াশোনা শুরু করা যাবে কিনা সেব্যপারে নিশ্চিত জানাতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পঠনপাঠন চালু করার দাবিতে অভিভাবকেরা এ দিনও প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায়কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। স্কুল কর্তৃপক্ষকেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মহকুমাপ্রশাসন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন ওই স্কুলের বালক বিভাগটি বালিকা বিভাগের সাতটি শ্রেণিকক্ষ ব্যবহার করত। এত দিন সকালে বালিকা বিভাগের পড়াশোনা চলত বলে তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষে ২ জানুয়ারি থেকে বিভাগটি দুপুরে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, তাঁরা উচ্চমাধ্যমিকের অনুমোদন পেতে চলেছেন। এজন্য দুপুরেই স্কুল করতে হবে। ফলে নিজস্ব ভবনের সাতটি শ্রেণিকক্ষ বালক বিভাগকে আর দিতে পারবেন না তাঁরা। সুব্রতবাববু জানান, বহুবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত বদলাতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষিকা। ফলে বসার জায়গার অভাবে ক্লাস বন্ধ রয়েছে বালক বিভাগের। বেশ কয়েক বার বৈঠকের পরেও অচলাবস্থা কাটছে না।
কী ভাবে শ্রেণিকক্ষের সমস্যা মিটবে তা নিয়েও কোনও সমাধান সূত্র বার করতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভের জেরে শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ আরও একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন অভিভাবকদের সঙ্গে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, একটি শ্রেণির সবক’টি বিভাগের ছাত্রদের একটি শ্রেণিকক্ষে একসঙ্গে বসিয়ে পড়ানো শুরু করা হবে। তবে সে ক্ষেত্রে একটি শ্রেণি কক্ষে কমপক্ষে আশি জন ছাত্রকে বসাতে হবে। সেক্ষেত্রে কতটা সুস্থ পড়াশোনার পরিবেশ থাকবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। স্কুলের বারান্দায় ও ফাঁকা জায়গাতেও ম্যারাপ বেঁধে ছাত্রদের বসাতে উদ্যোগী হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাটিতে চট বা শতরঞ্জি পেতে বসাতে হবে ছাত্রদের। তাতে আবার অভিভাবকদের একটি বড় অংশেরই আপত্তি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কার্যত উভয়সঙ্কটে পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় বলেন, “সোমবার এইভাবেই পড়াশোনা শুরু করা হবে বলে আমার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তা কতটা সম্ভব হবে, জানিনা।” সুব্রতবাবু জানান, মহকুমা প্রশাসন ও স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় জানান, দুই তরফেই তাঁকে নিজেদের স্তরে সমস্যাটি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|