খুনে ধৃতদের জেরা করে অস্ত্রের হদিস লাউদোহায়
খুনের ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে অস্ত্র উদ্ধার হল লাউদোহায়। ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার আমদহি গ্রামে শেখ লালু খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার এ কথা জানান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব।
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ দুষ্কৃতীদের গুলিতে বাড়ির সামনে খুন হন সৈয়দ আহমেদ ওরফে শেখ লালু (৩৫)। কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামের অন্য দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ধান ঝাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত মনসুর আলি ওরফে শেখ মন্টুকে (৩৬) গুলি করে দুষ্কৃতীরা। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মন্টুকে নিজেদের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাতে শেখ লালু খুনে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে ধরে পুলিশ। তবে শেখ মন্টু খুনের ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, অভিযুক্তদের খোঁজে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার নানা এলাকার পাশাপাশি কাঁকসা থানার জাটগোড়িয়া এলাকাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, অভিযুক্তদের খোঁজে লাউদোহার পাশাপাশি কাঁকসার জাটগোড়িয়া এলাকাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
রবিবার দুর্গাপুর থানায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ জানিয়েছে, শেখ লালু খুনের ঘটনায় পরিবারের তরফে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম দেওয়া হয়েছিল তাদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, শেখ সরফুদ্দিন, শেখ আসান, শেখ মিরাজ, শেখ লালবাবু, শেখ মিঠুন ও শেখ নাজিবুদ্দিন এই খুনের ঘটনায় জড়িত। আমদহি ও কৈলাসপুরে পুলিশি টহল বাড়ায় তারা এলাকা ছেড়ে পালায়। শেষ পর্যন্ত এসিপি (পূর্ব) এস সিলভান মুরুগানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের কালীনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আদালত ধৃতদের ১২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, হেফাজতে পাওয়ার পরে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। তাতে জানা যায়, কালীনগরে শেখ নুরুল নামে এক বাসিন্দা ওই ছ’জনকে আশ্রয় দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাদের অস্ত্রশস্ত্রও ওই বাড়িতেই রয়েছে। এর পরেই পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। উদ্ধার হয় দু’টি নাইন মিমি পিস্তল, একটি সাধারণ পিস্তল, একটি সিঙ্গল ব্যারাল মাস্কেট, একটি পাইপগান ও একটি নাইন এমএম কার্বাইন। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, শেষ আগ্নেয়াস্ত্রটির কার্যকারিতা একে ৪৭-এর মতো, কিন্তু নাইন এমএম পিস্তলের গুলি ব্যবহার করা যায়। এ দিন অভিযানে মোট ৪৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি। শেখ নুরুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া ও তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.