পুলিশ জানিয়েছে, শেখ লালু খুনের ঘটনায় পরিবারের তরফে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম দেওয়া হয়েছিল তাদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, শেখ সরফুদ্দিন, শেখ আসান, শেখ মিরাজ, শেখ লালবাবু, শেখ মিঠুন ও শেখ নাজিবুদ্দিন এই খুনের ঘটনায় জড়িত। আমদহি ও কৈলাসপুরে পুলিশি টহল বাড়ায় তারা এলাকা ছেড়ে পালায়। শেষ পর্যন্ত এসিপি (পূর্ব) এস সিলভান মুরুগানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের কালীনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আদালত ধৃতদের ১২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, হেফাজতে পাওয়ার পরে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। তাতে জানা যায়, কালীনগরে শেখ নুরুল নামে এক বাসিন্দা ওই ছ’জনকে আশ্রয় দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাদের অস্ত্রশস্ত্রও ওই বাড়িতেই রয়েছে। এর পরেই পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। উদ্ধার হয় দু’টি নাইন মিমি পিস্তল, একটি সাধারণ পিস্তল, একটি সিঙ্গল ব্যারাল মাস্কেট, একটি পাইপগান ও একটি নাইন এমএম কার্বাইন। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, শেষ আগ্নেয়াস্ত্রটির কার্যকারিতা একে ৪৭-এর মতো, কিন্তু নাইন এমএম পিস্তলের গুলি ব্যবহার করা যায়। এ দিন অভিযানে মোট ৪৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি। শেখ নুরুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া ও তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। |