|
|
|
|
মুক্ত সংশোধনাগারের জন্য পরিকাঠামো দেখলেন মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
মুক্ত সংশোধনাগার গড়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি দুর্গাপুরে এসেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কারা দফতরের আইজি রণবীর কুমার। মন্ত্রী জানান, এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে দুর্গাপুরে বর্তমান উপসংশোধনাগারের সামনে অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকা জমি কাজে লাগিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় মুক্ত সংশোধনাগারটি গড়া যেতে পারে বলেই মত তাঁর। কারা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৭ সালে রাজ্যের প্রথম মুক্ত সংশোধনাগারটি (ওপেন এয়ার কারেকশনাল হোম) গড়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের লালবাগে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনাই ছিল এর উদ্দেশ্য। |
|
পরিদর্শনে কারামন্ত্রী ও আইজি।—নিজস্ব চিত্র। |
মুর্শিদাবাদের রাজ পরিবারের দান করা জমি ও বাড়িতে প্রায় একশো একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা ওই মুক্ত সংশোধনাগারে সাত বছর বা তার বেশি সময়ের কারাবাসের দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদীদের রাখা হয়। সেখানে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সংশোধনাগারের বাইরে বিভিন্ন কাজকর্ম করে পরিবারের জন্য রোজগারের সুযোগ পান তাঁরা। কেউ খেতে কাজ করেন, কেউ বাগান করেন, কেউ বা দোকান চালিয়ে উর্পাজন করেন। সেই সময়ে চাইলে পরিবারের সঙ্গে থাকতেও পারেন তাঁরা। রাতে ফিরে আসেন সংশোধনাগারে। এখনও পর্যন্ত প্রায় শ’খানেক কয়েদীর জীবন কাটছে এভাবেই। কারা দফতরের দাবি, রাজ্যের বাকি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীদেরও ধাপে ধাপে এই সুযোগ করে দিতে চান তাঁরা। তারই প্রক্রিয়া হিসাবে রাজ্যে আরও মুক্ত সংশোধনাগার গড়ে তুলতে চায় কারা দফতর। মন্ত্রী বলেন, “যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীরা সাজা শেষে যাতে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারেন, তার জন্য রাজ্যে বেশ কয়েকটি মুক্ত সংশোধনাগার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।”
দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ে উপ-সংশোধনাগারের সামনে বহু জমি ফাঁকা পড়ে আছে। দফতর সূত্রে জানা যায়, সেই জমিতে মুক্ত সংশোধনাগার গড়ার প্রাথমিক চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কারা দফতর। প্রাথমিক ভাবে ৩০ জন কয়েদির জন্য পরিকাঠামো গড়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। আইজি রণবীর কুমার জানান, কয়েদিরা স্থানীয় বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কাজের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। ইচ্ছুকেরা পড়াশোনার সুযোগও পাবেন। শঙ্করবাবু বলেন, সংশোধনাগারের কয়েদিরা নাটক মঞ্চস্থ করে চমকে দিয়েছেন। তাঁদের গানের সিডিও সাড়া জাগিয়েছে। বহু কয়েদী মুক্ত সংশোধনাগারে থাকার জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু জায়গার অভাবে তারা সুযোগ পাচ্ছেন না। মন্ত্রী জানান, উপ-সংশোধনাগারের সামনের জমি ও পরিকাঠামো ব্যবহার করে একটি মুক্ত সংশোধনাগার গড়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “বিষয়টি এখনও প্রাথমিক ভাবনা-চিন্তার স্তরে রয়েছে। তবে দুর্গাপুরে মুক্ত সংশোধনাগার গড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।” |
|
|
|
|
|