|
|
|
|
মুর্শিদাবাদের ছেলের কণ্ঠে মাতোয়ারা বলি-টলি
ইন্ডিয়ান আইডল, ফেম গুরুকুল ঘুরে ‘বরফি’র গান। ‘বোঝে না সে বোঝে না
সুপারহিট। গায়ক অরিজিৎ সিংহ। কে তিনি? জানালেন ইন্দ্রনীল রায় |
• মুর্শিদাবাদের পঞ্জাবি, কিন্তু নিয়মিত রবীন্দ্রনাথ পড়েন।
• বাবা পঞ্জাবি, মা বাঙালি। জিয়াগঞ্জে থাকতেন। এখন ঠিকানা মুম্বইয়ের ওশিওয়ারা।
• খবর নিলেই জানতে পারবেন অনেকেই বলছে এ প্রজন্মের সেরা গায়ক তিনি।
সিনেমার নাম ‘বোঝে না সে বোঝে না’। তার টাইটেল ট্র্যাক ‘বোঝে না সে বোঝে না’ এই মুহূর্তে সবার মুখে মুখে। গায়ক অরিজিৎ সিংহ। কোথায় থাকেন?
কী করেন?
ভেবেছিলাম ক্লাসিকাল সিঙ্গার হব
“আমার ছোটবেলা জিয়াগঞ্জে কেটেছিল। এখানেই ইন্ডিয়ান ক্লাসিকাল শিখি খুব ছোট বয়স থেকে। ভেবেছিলাম ক্লাসিকাল সিঙ্গার হব। তার পর ইন্ডিয়ান আইডল দেখে ভাবলাম এটা তো ভাল প্ল্যাটফর্ম। ওখানে গাইলাম, লোকে চিনল। তার পর মুম্বই চলে এলাম।” বলছিলেন অরিজিৎ। ইন্ডিয়ান আইডল-এর পর তার কাছে নতুন অ্যালবামের অফার ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি অ্যালবামটা। কিন্তু তাতে দমে যাননি ছাব্বিশ বছরের যুবক। |
|
তখন সঙ্গীত পরিচালকরা নিজেরাই গাইতে ব্যস্ত
অ্যালবাম না হওয়ার কথা জানার পরেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করেন কোনও নামী সঙ্গীত পরিচালককে প্রোগ্রামিং, কম্পোজিংয়ে সাহায্য করবেন তিনি। তার পর একে একে কাজ করেছেন শঙ্কর-এহেসান-লয়, মন্টি শর্মা, যতীন-ললিতয়ের ললিত এবং খুব অল্প সময়ের জন্য বিশাল-শেখরের সঙ্গে।
“ওই সময় সঙ্গীত পরিচালকদের সহকারী হিসাবে কাজ করতাম কারণ হিমেশ রেশমিয়ার পর সব সঙ্গীত পরিচালক নিজেরাই গান গাইতে ব্যস্ত ছিলেন। তাই শুধু প্লে-ব্যাক করে কেউ কাজ পাচ্ছিল না,” বললেন অরিজিৎ।
কাজ ছিল না, গ্র্যাজুয়েশনটা করে নিলাম
এর মধ্যেই কাজ কমে যাওয়াতে তিনি মুর্শিদাবাদে ফেরেন। “বাড়ি ফিরেছিলাম কারণ সেই রকম কাজ পাচ্ছিলাম না। ঠিক করলাম গ্র্যাজুয়েশনটা শেষ করে নিই। তার পর ‘দাদাগিরি’র এন্ড টাইটেল গানটা বাঁধি,” বললেন অরিজিৎ।
এর মধ্যেই তিনি অনুরাগ বসুর টিভি শো ‘কে হবে বিগেস্ট ফ্যান’য়ের গান গাওয়ার পর নজরে পড়ে যান অনুরাগ বসুর।
|
ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত
অরিজিৎ সিংহ গায়ক হিসাবে অনুপম রায়ের থেকে অনেক ধাপ এগিয়ে।
তবে অনুপমের সঙ্গে এই মুহূর্তে মনে হয় না ওর কোনও প্রতিযোগিতা আছে।
|
|
অনুপমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নেই
“অনুরাগদার সঙ্গে আলাপ হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই প্রীতমদা আমাকে সহকারী হিসাবে কাজ করতে বলেন। এর মধ্যেই অবশ্য ‘মার্ডার ২’র গান হিট করেছে। তার পর তো একে একে ‘এজেন্ট বিনোদ’, ‘প্লেয়ার্স’, ‘সাংহাই’য়ের গান গাইলাম। এর পর এল ‘বরফি’র ‘ফির লে আয়ে দিল’ আর ‘সাওলি সি রাত’। দু’টো গান হিট হওয়ার পর পরই এল ‘বোঝে না সে বোঝে না’র গানটা। সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। ‘বোঝে না’-র গানটা গাইবার পর দারুণ ফিডব্যাক পাচ্ছি। বুঝতেই পারছি গানটা হিট হয়েছে খুব।”
তা অনেকেই তো বলছে অনুপম রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী এ বার আপনি?
“ধুর, কী যে বলেন। অনুপম রায়ের সঙ্গে আমার কোনও প্রতিযোগিতা নেই। আমি প্লে-ব্যাক গায়ক না। চাই মিউজিক প্রোডিউসার হয়ে থাকতে। অন্যদের প্রোগ্রামিং করে দেব। ট্র্যাক বানাব। কালকে অনুপমের গানেরও প্রোগ্রামিং করতে আমি রাজি। তবে ভবিষ্যতে পূর্ণ সময়ের জন্য সুরকার হওয়ার ইচ্ছে নেই,” বললেন অরিজিৎ। |
|
|
|
|
|