|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
এই তো জীবন |
ইটসি বিটসি মূলত এমন একজন মানুষ যার প্রকৃত নাম সোমনাথ। স্বপ্নভঙ্গের কোলাজ-ছবি। প্রত্যন্ত গ্রামে বড় হওয়া সোমনাথ চাকরির খোঁজে আসে কলকাতায়। ইতিমধ্যে প্রেমেও পড়ে সে। অদিতি, যে সোমনাথের সারল্যে ভালবেসে ফেলে। এটা এমন একটা সময়ের ঘটনা যখন পৃথিবী তোলপাড় হয়ে গেছে। সোমনাথ বিশ্বাস করে পৃথিবীটা চালাচ্ছে এখন লো-মিডিওকারেরাই। আর এই লো- মিডিওকারেরাই আদর্শ হয়ে দাঁড়াচ্ছে আরও আরও লো-মিডিওকারেদের কাছে। ও দিকে অদিতির বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলে ফ্লোরিডায় থাকে। সোমনাথ অসহায় হয়ে পড়ে। ছোটবেলার বান্ধবী ইলিনা ফিরে আসে আবার। বিয়ে করে সোমনাথ। অদিতি সন্তানকামী। কিন্তু সোমনাথ অক্ষম। ওর স্পার্ম কাউন্ট কম। |
|
ইতিমধ্যে ইলিনা সোমনাথের বন্ধু রঞ্জনকে বিয়ে করেছে। ইলিনা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গর্ভে সোমনাথের সন্তান। সোমনাথ জানতেই পারেনি যে দীর্ঘ দিনের চিকিৎসা ও সংযম সোমনাথের অজান্তেই ওর স্পার্ম-কাউন্ট বাড়িয়ে দিয়েছে পিতৃত্বের সীমানা অবধি। সোমনাথ ইলিনাকে গর্ভপাত করাতে বলে। ইলিনা রাজি নয়। সোমনাথ হেরে যায় যখন ইলিনা জানায় যে আগত সন্তান ওর আর রঞ্জনের সন্তান হয়েই বড় হবে, সোমনাথের কোনও দরকার পড়বে না। বর্তমান সময়কে ধরে যে ভাবে নাটকের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে অবশ্যই ধন্যবাদ পাবেন পরিচালক দেবাশিস ঘোষ দস্তিদার। গৌতম হালদারের অভিনয় নাটকটিকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। এ ছাড়াও ভাল অভিনয় করেছেন দোয়েলপাখি দাশগুপ্ত, যীশু পাল, চিরঞ্জীব বসু, মৌমিতা দত্ত, তারাশঙ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ। মঞ্চ হিরণ মিত্রের। আলোয় জয় সেন। আবহে সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। |
|
|
|
|
|