|
|
|
|
ছোট আঙারিয়ায় শহিদ স্মরণ সভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের উদ্যোগে শুক্রবার দুপুরে শহিদ স্মরণ সভা হল গড়বেতার ছোট আঙারিয়ায়। প্রায় এক দশক আগে, ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারির রাতে ছোট আঙারিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর তাঁদের লাশ গায়েব করার অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। রাজ্যে পালাবদলের পর গত বছর প্রথম ওই এলাকায় শহিদ স্মরণ সভা করে তৃণমূল। এ বারও সেই সভা হল। ছিলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো।
এক সময় ছোট আঙারিয়া মামলাটি কার্যত কফিনে ঢুকে পড়েছিল। মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন তপন ঘোষ, সুকুল আলি-র মতো সিপিএম নেতা-কর্মীরা। রাজ্যে পালাবদলের পর অবশ্য নতুন করে প্রাণ পায় মামলাটি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অন্যতম অভিযুক্ত দিল মহম্মদ। মেদিনীপুর আদালতের নির্দেশে তিনি এখন জেল হেফাজতে। দিল মহম্মদ ধরা পড়ার পর নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তবে মেদিনীপুর আদালতে এখন মামলাটি সে ভাবে এগোচ্ছে না। বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। গত বছরের ১৪ মে মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে ছোট আঙারিয়া মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম কর্মী দিল মহম্মদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়। এরপরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় চার্জ গঠনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, যে সব ধারায় চার্জ গঠন হয়েছে তার মধ্যে এই তিনটি ধারা কোনও ভাবে থাকতে পারে না। কারণ, ঘটনাস্থল থেকে কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি। অস্ত্রও মেলেনি। হাইকোর্টে যেহেতু মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি, সেহেতু মেদিনীপুর আদালতেও মামলাটি এগোনো সম্ভব হচ্ছে না। আগামী ১৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।
শুক্রবার তৃণমূলের এই সভা থেকে ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি উঠেছে। শহিদ স্মরণ সভায় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, গড়বেতার বুকে সিপিএম যে ভাবে সন্ত্রাস করেছে, তাতে মানুষ কখনও তাদের ক্ষমা করবে না। যাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল, সেই বক্তার মণ্ডলও হাজির ছিলেন সভাতে। তিনি বলেন, “আমরা এখন বিচারের অপেক্ষায়। গ্রামের সকলে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।” |
|
|
|
|
|